সবসময় একটা বিদ্রুপ, বিদ্রোহমূলক ভাষা, নিখাদ ভালবাসা কি লিখতে পারি না?
কতটা নিখাদ? যেমন সিনেমায় দেখি বা গল্পে পড়ি? আমি যে কোনোদিনই ভালো ছাত্র ছিলাম না।
আমি কল্পনায় খুব নিরক্ষর, যা গায়ে মাখি তাই লিখি…
হ্যাঁ আমিও ভালবেসেছি, অনেক সম্পর্কেও থেকেছি। আমার নিখাদ গুলো বলি?
প্রথমজনের নাকি আমিই প্রথম, তবু আমায় ছুুঁতো না, ষোলো ছিলাম বলে!
কিন্তু তার অনেক সহবাসী, কারণ শরীরের খিদেও তো মেটাতে হবে।
দ্বিতীয়টি একটু বেশী স্পষ্টবাদী, তিন ঘন্টা অপেক্ষা করিয়ে বলে ডেটিং অ্যাপের বন্ধুদের
সাথে আড্ডা দিচ্ছিল।
আমার প্রথম সহবাসে নাকি ভীষণ ঠাণ্ডা ছিলাম আমি, তাই ছেড়ে দিয়েছিল।
পরের জন আর একটু বাড়াবাড়ি, সম্পর্কে থেকেও অন্যদের বিছানায় যেত;
আমি ভালো চুষতে পারি বলে আমার কন্ট্যাক্টও দিয়ে আসত।
ছেড়েছিলাম আমি! আমার মা নাকি বেশ্যা নাহলে আমি এত ভালো কি করে বিছানায়?
তবুও ছিলাম! তবে শেষ দিন দেখেছিলাম আমার পাশের বাড়ির বিছানায়, খালি গায়।
খুব মারত! আজও দাঁত গুলো গজানো হয়নি,
তারপর চার বছর…
আবার প্রেমে পড়লাম আমি।
সে নাকি সবকিছু করবে, একবারের জায়গায় পাঁচ বার করবে, কিন্তু চুমু খাবে না কারণ
আমি মাংসাশী!
তারপর এল একটি সোজা! যে আমায় খেয়েছে চুমু, চুষিয়েছে;
কিন্তু সম্পর্কে যাবে না কারণ ও নাকি মেয়েদেরকেই বিয়ে করবে।
আরো আছে! আরেকটা বলি?
ইনি বলেন আমি মেয়ে হলে নাকি তুলে নিয়ে যেত! মেয়ে হলে নাকি বিছানা থেকে
নামতেই পারতাম না আমি…
প্রেমে পড়লাম, আমি যে সহজে প্রেমে পড়ি। সেও প্রেমিকাসত্ত্বার সব সুবিধা বুক চিতিয়ে
নিল,
প্রেমটাকে সম্মান জানানোর বেলায় তার সবকটা কথা নাকি প্রথম থেকেই বন্ধুসুলভ
ইয়ারকি ছিল।
তবুও আমার নিখাদ প্রেমই লেখা উচিত, তাই না?
লেখক বলে নাম কামাবো আর পাঠকের কথা শুনব না?
থাক না আমার গল্প! সত্য কখনও অসাধারণ হয়না।।