( ১ )
-‘আচ্ছা মা পরীরা কেমন দেখতে হয় ?’
-‘পরীরা ? উমম্ কিছুটা আমার সোনার মতো দুষ্টু’ ,
-‘না তুমি সত্যি করে বলো , নাহলে আড়ি করে দেবো’ ।
-‘আচ্ছা বাবা ঠিক আছে শোন তবে —’
-‘পরীরা না ,খুব সুন্দর দেখতে হয় ,
খুব ভালো গান গায় আর সবসময় বাচ্চাদের আদর করে’ ।
-‘মা ঠিক তোমার মতো , তুমিও তাহলে পরী ‘?
-‘শশশশ্ , কেউ যেন এটা জানতে পারে’ ,
-‘অনেক রাত হয়েছে এবার না ঘুমোলে পরীরা রেগে যাবে ,
এখন আমার সোনা ঘুমোতে যাবে পরীর দেশে—’
( ২ )
বরফের শহর কাশ্মীর , সকালে ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে
-‘সোনা উঠে পড়ো , অনেক বেলা হয়ে গেছে —
চলো উঠে পড়ো চটপট , আজ আমি আর আমার পুঁচকু নীলপরী বেড়ু বেড়ু করতে যাব ‘,
-‘মা জানো কাল রাতে আমার স্বপ্নে পরী এসেছিল,
আমাকে না কিসি করে দিয়ে গেছে —’
-‘ওহ্ ,তাহলে এখন আমার সোনার আমাকে ভুলেই গেছে —’
-‘না ভুলিনি ,আমি তোমায় কিসি দেবো ‘,
-‘ আমায় কোলে নাও—’
-‘ওলে বাবা লে আমার সোনা মেয়ে’ ।
(৩)
-‘আপনাদের বারবার বলছি পিছিয়ে যান ‘,
নয়তো আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হবো’ ।
-‘চালা গুলি , আমরা ভয় পাইনা , আমরা জেহাদী
তোরা পিছিয়ে যা নইলে আমরাও ছুঁড়তে পারি ইঁট , পাথর,গুলি ।
মার শালা পুলিশগুলোকে , বিদ্রোহ কি এবার টের পাবি ।
আরে , ঐ দেখ দুটো অন্যধর্মের …..
ছুটে পালাচ্ছে , একদম ছাড়বি না , মেরে ফেল দুটোকে—’
(৪)
আকাশটা আজ যেন একটু আজ বেশিই মেঘলা ,
ঠান্ডাটা ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে ,
সত্যিই বোধহয় যুদ্ধ বিরতি সময় এসেছে ।
-‘পারলাম নারে সোনা , আমি মা হয়েও হেরে গেলাম
প্লিজ্ পরেরবারও আমার কোলে আসিস ,
তোকে নিয়ে অনেকদুরে চলে যাব যেখানে কোনোদিন যুদ্ধ হয় না ,
যেখানেই থাকিস ভালো থাকিস ,‘তুলি’
এখনো যে তুই ই আমার ছোট্ট নীলপরী—’