দুধ না খেলে, হবে না ভালো ছেলে।।

দুধ । খাবারের তালিকায় এই তরল পদার্থটি দেখলেই ছোট বড় নির্বিশেষে বেশিরভাগ বাঙালির গা গুলিয়ে ওঠে। দুধটাকে বেশিরভাগ বাঙালিই চিরকাল তাদের ঘোষিত শত্রু হিসেবে দাবি করে এসেছে।
তবে সত্যি তো এটাই যে দুধের মধ্যেই রয়েছে চমকে দেওয়ার মতো এমন কিছু গুন, যা একইসাথে সুস্থ, সবল এবং সুন্দর করে তুলতে পারে আমাদের।

■আসুন জেনে নেওয়া যাক দুধের উপকারীতা এবং দুধকে সুস্বাদু বানিয়ে পান করার উপায়।

■উপকারীতাঃ-
●১) দুধ ক্যালসিয়ামের সব চাইতে ভালো উৎস। ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠন মজবুত করে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম ভিটামিন-ডি এর সাহায্যে আমাদের হাড় ও দাঁতে শোষিত হয়ে হাড় ও দাঁতের গড়ন দৃঢ় করে এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই দুধ পানের অভ্যাস করানো উচিৎ। এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই অভ্যাসটি অপরিবর্তিত থাকলে দেহে বার্ধক্যও আসবে দেরিতে।

●২) দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা মাংশপেশির গঠনে অনেক বেশি সহায়তা করে। দুধ মাংশপেশির আড়ষ্টতা দূর করতে সক্ষম। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের জন্য প্রতিদিন ১ থেকে ২ গ্লাস দুধ অত্যন্ত জরুরী। বাচ্চাদের মাংশপেশির গঠন উন্নত করতেও প্রতিদিন দুধ পান করা প্রয়োজন।

●৩) প্রতিদিন ১ গ্লাস দুধ পান করলে অন্যান্য খাবারের চাহিদা অনেকাংশে কমে যায়। এবং সকালে প্রাতঃরাশের সময় দুধ পান করলে অনেকটা সময় দুধ পেটে থাকে। ফলে আজেবাজে খাবারের চাদিহা কমে। এতে করে ওজনও কমে যায়। এছাড়াও দুধ একটি সর্বগুণ সম্পন্ন খাবার। দুধ পানের ফলে দেহে অনেক ধরণের পুষ্টিউপাদান পৌঁছায় যার কারণে যারা ডায়েট করে ওজন কমাতে চান তাদের জন্যও এটি সুপারফুড।

●৪) দুধের অন্য একটি বড় গুণ হচ্ছে এটি মানসিক চাপ দূর করতে সহায়তা করে। দুধ পানে ঘুমের উদ্রেক হয়, যার ফলে মস্তিষ্ক শিথিল হয়ে যায় এবং মানসিক চাপ দূর হয়। সারাদিনের মানসিক চাপ দূর করে শান্তির নিদ্রা চাইলে প্রতিদিন রাতে ১ গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করা উচিৎ।

●৫) দুধে রয়েছে নানা ধরণের ভিটামিন মিলারেস ও নানা পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন দুধ পান করলে ত্বকে এর বেশ ভালো প্রভাব পড়ে। ত্বক হয় নরম, কোমল ও মসৃণ। তাই প্রতিদিন খাবার তালিকায় ১ গ্লাস দুধ রাখা প্রয়োজন।

●৬) দুধের অন্য একটি বড় গুণ হচ্ছে এটি মানসিক চাপ দূর করতে সহায়তা করে। দুধ পানে ঘুমের উদ্রেক হয়, যার ফলে মস্তিষ্ক শিথিল হয়ে যায় এবং মানসিক চাপ দূর হয়। সারাদিনের মানসিক চাপ দূর করে শান্তির নিদ্রা চাইলে প্রতিদিন রাতে ১ গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করা উচিৎ।

■দুধ কী কী উপকার করে তা জেনে নেওয়া হলো।
●এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক দুধকে সুস্বাদু বানিয়ে পান করার উপায়:-

●১) দুধের সাথে কাজু, বাদাম, পেস্তাবাটা মিশিয়ে পরিবেশন করা যেতে পারে, এক্ষত্রে দুধ অনেকটাই সুস্বাদু হয়ে ওঠে।

●২) দুধের সাথে চকোলেট মিশিয়ে চকোলেট দুধ বানানো যেতে পারে। দুধে নাক শিঁটকালেও এতে বাচ্চাদের না থাকবে না।

●৩) বিভিন্ন রকম ফল যেমন- আম, আপেল, কলা ইত্যাদির রস মিশিয়ে দুধের সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে তবে তা ঘুমোনোর আগে না পান করাই ভালো।

●তবে দুধ পান করার কিছু নিয়মাবলীও মেনে চলা প্রয়োজন যেমন মাছ মাংস খাওয়ার পর দুধ না পান করাই ভালো, কারণ মাছ-মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে; দুধে বাড়তি চিনি না পান করাই ভালো, কারণ অতিরিক্ত চিনি স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক।
ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা দুধ থেকে বিরত থাকাই ভালো, উষ্ণ গরম দুধ শরীরের পক্ষে সবচেয়ে বেশি উপকারী।

তাই সুস্থ, সবল, সুন্দর থাকতে গেলে অবশ্যই নিয়মাবলী মেনে দুধ পান করতেই হবে।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *