কথা দেওয়া থাক (পর্ব- ৪)

কথা দেওয়া থাক

পর্ব- ৪

তিন্নি: এই ঝমঝমিয়ে নামলো যে রে, আমার টনসিল বাড়বে এবার। করছিস টা কী!

মেঘ: অচেনা করিসনা আর নিজেকে আমার কাছে, প্লিজ!
তোর নিজেকে চেনার দিনগুলোর আগে থেকে জানি তোকে, এই ঠুনকো বালির দেওয়ালটা আর তুলিস না রে তিন্নি!

তিন্নি: তোর সেই তিন্নি সেদিনের ওই প্রত্যাখানের ঝলকানিতে চমকায়নি কেবলই, বাজ পড়ার তীব্র লেলিহানে জ্বলে পুড়ে খাক হয়েছে রে। এই বৃষ্টির ফোঁটাগুলো দেয়না আর এই দগদগে ঘা-টায় উপশম, দেয়না কোনো প্রকার সাময়িক প্রশান্তি!

মেঘ: সম্পর্ককে কি তুই কেবল মাত্র প্রেমের আখ্যা দিস?

তিন্নি: না, অবলম্বনগুলো প্রতিটা সম্পর্কে ভিন্ন, আর সেই প্রতিটা অবলম্বন সত্যি, ভীষণরকম! যেমন তোর-আমার… মেঘ!

মেঘ: ওই পাগলী, এখনও যে কেন এতো ভয় পাস মেঘ ডাকলে? কিচ্ছু হয়নি তো!

তিন্নি: ছোটোবেলায় কেমন চিৎকার করতাম মনে আছে?

মেঘ: বাব্বাহ! দিব্যি মনে আছে, বাচ্চাই তো আছিস এখনও, কেবল হৃদয় ভাঙার প্রথম আওয়াজটা পেয়েছিস রে।
এই তিন্নি, ধুয়ে ফেলি চল না আমাদের প্রাক্তন-প্রত্যাক্ষান নামক ধুলোটা! শুধু দাগটা আগলে রাখি সযত্নে। কিছু ভালো মুহূর্ত আর দৃঢ় ক্ষতটার মালিকানার ওয়ারিস করে, অপ্রয়োজনীয় কোণে যত্নে থাকুক ওরা… ভালো থাকুক ওরা।
কেবল প্রতিদিন একটু একটু করে জল দিয়ে সিক্ত রেখে, লালনপালন না করে, ওদের থাকতে দিই একা, যেমন তারা করে গেছিল। মাঝরাস্তায়!

তিন্নি: পারবি তুই নিজে? সোমদত্তার বাড়ির রাস্তাটার সামনে দিয়ে উথালপাথালহীন হৃদয়ে হাঁটতে? পারবি তুই?

মেঘ: অভ্যেসটা মেঝের উপর মরচে পড়া সিলিন্ডারটার দাগটার মতো তিন্নি, দাগটা থেকে যায় রে, প্রথম দাগ ফেলা কারণটা না!

তিন্নি: আচ্ছা, আমরা কি শুধুই বন্ধু, মেঘ?

মেঘ: উঁহু, অবলম্বন।

তিন্নি: হ্যাঁচ্চো!

চলবে…

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *