চলো, লেটস গো!
মার্চ মানেই বোর্ডস এক্সাম শেষ, তাই সময় সুযোগ নিয়ে কাছে পিঠে ঘুরে আসার এটাই আদর্শ সময়।
আমাদের কাছাকাছিই আছে ঘোরার জন্য কতগুলো আদর্শ জায়গা।
১) তালসারিঃ
দু-তিন দিনের ঘোরার জন্য দীঘা বাঙালির আদর্শ জায়গা। কিন্তু দীঘার ভিড় আপনার পছন্দ না’ই হতে পারে। তাই দীঘার থেকে কিছু দূরে তালসারিতে ঘুরে আসতেই পারেন। তালসারির নির্জন সমুদ্র সৈকত আপনাকে মুগ্ধ করবে। এই গরমে চুটিয়ে সমুদ্র স্নানও করতে পারবেন। কাছাকাছি নিউ দীঘা, অমরাবতী পার্ক, সায়েন্স মিউসিয়াম, অ্যাকোরিয়ামও চাইলে দেখেই আসতে পারেন। তালসারির সমুদ্রতীরেই আছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কটেজ। আর নিজের চোখেই দেখতে পাবেন সুবর্ণরেখা নদীর বঙ্গোপসাগরে মেশা।
২) চুহিকিম ভিলেজঃ
এই গরমে পাহাড় যদি আপনার পছন্দের জায়গা হয় আপনি ঘুরেই আসতে পারেন দার্জিলিংয়ের চুহিকিম গ্রামে। পাহাড় ঘেরা শান্ত একটা গ্রাম। যেখানে নির্জনতাই সঙ্গী হবে আপনার। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যাবেন চুহিকিম ভিলেজ।
৩) হেনরি আইল্যান্ডঃ
বকখালির কাছে একটা নির্জন দ্বীপ হেনরি আইল্যান্ড। যদি কারো নির্জন সমুদ্র সৈকতে ছুটির কদিন কাটাতে ভালো লাগে তাহলে ঘুরে আসতেই পারেন হেনরি আইল্যান্ড।
৪) বক্সাঃ
পাহাড় বা সমুদ্র ছেড়ে আপনি যদি হন জঙ্গল প্রেমী তবে আলিপুরদুয়ার নেমে ঢুঁ মেরে আসতেই পারেন বক্সা অরণ্যে। বাঘ, সিংহ, হাতি ছাড়াও জঙ্গলে অনেক ইতিহাস খুঁজে পাবেন।
৫) ডুয়ার্সঃ
পাহাড় ঘেরা ডুয়ার্সে ঘুরে আসা যেতেই পারে। কলকাতার প্যাচপেচে গরম থেকেও শাপমুক্তি ঘটবে। ডালগাও ফরেস্ট, চিলাপাতা সহ বেশ কিছু জায়গা ঘুরে আসতেই পারেন।
৬) উদয়পুরঃ
দীঘা বা মন্দারমনির ভিড় সহ্য করতে না পারলে দীঘার কাছে উদয়পুর থেকে ঘুরেই আসতে পারেন। দীঘার কাছে হওয়ায় আশেপাশের বিচ ঘুরে দেখতেই পারেন।
৭) ফরগটেন জেম, কার্শিয়াংঃ
দার্জিলিংয়ের পাহাড় ঘেরা হিল স্টেশন কার্শিয়াং। টয়ট্রেন ছাড়াও পাহাড়ি এলাকায় থাকার মজাটাই আলাদা। এছাড়া পাহাড়ি এলাকায় সূর্যোদয় দেখার আনন্দ তো আছেই।
৮) লামাহট্টঃ
বর্তমানে যাকে বলা হচ্ছে স্বর্গ। বৌদ্ধ মঠ ছাড়াও পাহাড়ি ফুলে ভরা অঞ্চল। যদি দার্জিলিংয়ে আসেন তবে ঘুরে যেতেই পারেন লামাহট্ট। ২০১২ তে নতুনভাবে এই ছোট্ট অঞ্চলটাকে সাজানো হয়েছে।
৯) মংপুঃ
আপনি যদি বই প্রেমী হন তবে আপনার অবশ্যই মংপু ঘুরে আসা উচিৎ। তাছাড়া রবীন্দ্রনাথের বাড়ি রবীন্দ্রভবনও সেখানেই। দার্জিলিং থেকে এক-দেড় ঘন্টা গাড়িতে গেলেই পৌঁছে যাবেন মংপু।
১০) নেতারহাটঃ
ছোটেনাগপুরের রানী বলা হয় এই অঞ্চলকে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার সবচেয়ে সুন্দর অঞ্চল হল এটি। রাঁচি থেকে ত্রিশ মিনিট বা বীরসা মুন্ডা এয়ারপোর্টে নেমে নেতারহাটে ঘুরে আসা যেতেই পারে গরমের ছুটি।