অ-শিক্ষা
শৈশব থেকেই কেবল কয়য়েকটা বইয়ের উপর ভর দিয়ে হেটে চলেছি এতগুলো বছর।
জানি,বুঝি, এতটুকু যথেষ্ট নয়, কিন্তু কিছুই করে ওঠা হয় না, বইয়ের ভাড়াটে হয়ে থাকা ছাড়া।প্রয়োজনের চেয়ে খানিকটা বেশি আমাদের প্রয়োজন সেটা বুঝি-তাই দর্জির নেওয়া মাপের চেয়ে একটু বেশি মাপের পরিধাণ তৈরি হয়ে এসেছে।
কিন্তু আমরা হতভাগা বলেই হয়তো প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভাবতে রাজি নই- তার ফলাফল সুখকর নয়।সভ্য সমাজের অবক্ষয় শিকার আমরা।প্রতিষ্টানিক পুঁথিবদ্ধ জ্ঞানের বাইরের জগত্ এর সাথে আলাপের বিন্দুমাএ আগ্রহ আমাদের জাগে না। সময়ের দ্রুতগতিতে যাত্রায় ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান পড়ে মানুষের মনে নীতিবোধ জাগবে এটা ভাবা রসিকতা মাত্র।
সকাল হলেই যে আলো আসবে সেদিন চলে গেছে। প্রতিটা মূহূর্তৈ লড়াই নিজের সাথে, সমাজের সাথে, এই লড়তে লড়তে অনেকে হাড়িয়ে ফেলেছে পথ। বিচ্ছিন্ন ভাবে কেউ কেউ চেষ্টা করেছে নিজের পরিধিকে সুস্থ রাখতে কিন্তু যে আগুন দেশের কোনায় কোনায় ছড়িয়েছে তাকে নেভাতে এক ঘটি জল কি যথেষ্ট হতে পারে? যারা এঈ অবক্ষয়ের মধ্যে শুধুমাত্র সুরক্ষিত করার চেষ্টা করছেন তারা ভুলে যাবেন না “এঈ পৃথিবীতে একা বলে কিছু নেই, একা কেউ বেঁচে নেই।”