কথা দেওয়া থাক ( অন্তিম পর্ব )

কথা দেওয়া থাক

অন্তিম পর্ব

তিন্নি― এতক্ষণ লাগে এইটুকু আসতে? মানে শুরুটা কি করেছিস তুই! যা ইচ্ছে করে যাবি নাকি? একটা মিনিমাম ভদ্র….

মেঘ― উফ্ চুপচাপ আইসক্রিমটা খা বেশি না বকে, গলে যাবে! আর আমি লেট নই, এটা আমার ১১ নম্বর গাড়ি, ম্যাগলেভ নয় যে উড়ে আসবো! এত অস্থির লাগছে কেন, কিছু হয়েছে?

তিন্নি― তোর আমার উপর রাগ হচ্ছে না মেঘ?

মেঘ― নিজের লোকেদের উপর অভিমান হয়, রাগ তো অচেনাদের খাতায় জমে!

তিন্নি― ঘুরতে নিয়ে যাবি না?

মেঘ― বাব্বাহ্! এতো ভদ্দরমহিলা, থুড়ি, বালিকে হলি কবে তুই…

তিন্নি― মেঘ! মার খেয়ে মরে যাবি কিন্তু তুই!

মেঘ― বেশি না বকে কোথায় যাবি চল তো!

তিন্নি― আচ্ছা, বৃষ্টি বললে কি প্রথম কি মনে পড়ে তোর?

মেঘ― মারবি না বল? না মানে ইয়ে, তোর ওই সেবার সাদা রঙের শাড়িটা পরে চিৎপটাং হওয়াটা… উঃ মারতে বারণ করেছিলাম তো রে শাকচুন্নি!

তিন্নি― ভীষণ বাজে তুই! আচ্ছা আর? আমি বাদে?

মেঘ― জীবনের সব বৃষ্টিটা তো তোর জন্যই যত্নে তোলা তিন্নি! স্মৃতি নামক বিশেষণটা তাই এই ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য! বাকি সব ওই কাদা প্যাচপ্যাচে কলকাতার নামেই বিদ্যমান!

তিন্নি― জীবনের সব?

মেঘ― আমি না, এর থেকে বেশি বলতে পারবো না আর! একেই তোর ওই জুলুজুলু চোখগুলোর দিকে তাকিয়ে বলতে পারি না কিছু! কেমন একটা ইয়ে ইয়ে হয় আমার! তাতেই এতটা বলেছি বাপু, এবার রিজেকশনের দুঃখে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াবো…

তিন্নি― চুপ! মার খেয়ে মরে যাবি তুই বিশ্বাস কর! ভালো লাগে না! ধ্যাৎ!

মেঘ― কি ভালো লাগে না পাগলি, হুম?

তিন্নি― জানিনা যাহ্! এতদিন লাগলো হ্যাঁ তোর বলতে!

মেঘ― ভয় করে তো! এই ছিটিয়ালটাকে হারাতে পারবো না আমি!

তিন্নি― ভীষণ বাজে তুই, এক্কেবারে যাচ্ছেতাই! করবোই না তোকে বিয়ে! বয়ে গেছে আমার!

মেঘ― ওহো! কি রোম্যান্টিক ভাবে বললো উফ্!

তিন্নি― ধ্যাৎ!

মেঘ― হ্যাঁ হয়েছে! আর লজ্জা পেতে হবে না, সাবধানে হাঁট!

তিন্নি― তুই আছিস তো!

মেঘ― পাগলি একটা!

সমাপ্ত

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *