‘স্টেটাস’ নামক শব্দটা

‘স্টেটাস’। শব্দটির সাথে পরিচয় খুব বেশি দিনের নয়,এরই মাঝে কি সুন্দর মনে জায়গা করে নিয়েছে।

“ছোটবেলায় মা এর চেয়েও বেশি মনে হয় ওনার কোলেই চরেছ,তার কুড়ি বছর পর মা এর পাশাপাশি সেই মহিলার পায়ে হাত দিয়েও কি প্রণাম করতে পারবে? মনে হয় না।”

“যে দিদির সাথে রান্নাবাটি খেলতে,সে গ্রামের স্কুল পাস করেছে, ইংরাজি টা তোমার চেয়ে কম ই জানে।নতুন কলেজের মডার্ন বন্ধুদের সাথে পারবে তার আলাপ করাতে? মনে হয় না।”

“স্কুলে একসময় বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলে,একসাথে ক্লাস করা,টিফিন খাওয়া। আজ তুমি যে কোম্পানির ম্যানেজার সে ওই কোম্পানির ক্লার্ক হিসেবে জয়েন করেছে।আজও তার সাথে এক কেবিনে বসে টিফিন খেতে পারবে? মনে হয় না।”

“মন প্রাণ দিয়ে যাকে ভালোবেসেছিলে,কম মাইনের চাকরি করায় যার সাথে জীবন গড়ে নাওনি।দশ বছর পর তার সাথে বাস এ দেখা হলে পারবে চিনতে? মনে হয় না।”

“পাশের বাড়ির কাকিমার হাতের রান্না যে চুরি করে খেতে,তার ছেলে আজ ভাগ্যের জেরে ড্রাইভারি করে।চল্লিশ বছর পর মেয়ের জন্মদিনের পার্টিতে পারবে তাকে নেমন্তন্ন করতে? মনে হয় না।”

এই উত্তর গুলো কি সত্যি মন মতো হল? নাকি মন অবধি পৌঁছতেই পারলোনা? সামনের ওই ‘স্টেটাস’ নামক দেওয়ালটাতেই কি প্রশ্নগুলো ধাক্কা খেয়ে খেয়ে ফিরে এল?

তবে সদ্য পরিচিত এই শব্দটির এত মূল্য কেন? নাকি সত্যিই এই ‘স্টেটাস ওয়াল’ এর প্রয়োজন ছিল।।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *