কাঁদতে বড্ড সাহস লাগে!

ছোট্ট খোকা পড়ল শানে
হাঁটু ছিলে রক্তে লাল,
ঠাকুমার আদর ছোঁয়ার ছলে
কান্না দিয়েছিল স্বল্প ছাড়।

এরপর খোকা একটু বড়
খেলতে শিখেছে খোলা মাঠ,
কাটা ছেঁড়ায় আসে না আর
চোখের কোণায় ক্ষণিক জল।

এরপর খোকা স্কুল পেরোলো
কান্না তখন চির বিদায়।
ছোট্ট সাজানো গোছানো জীবনে
“প্রকৃত ছেলে” তার পরিচয়।

জীবন তো যুদ্ধ এক!
যুদ্ধে এসেছিল উপহার,
অলিগলি বেঁধে বিরহ দিয়েছিল,
প্রেমে মিলেছিল অজুহাত।

তখন কান্না এসেছিল মনে
ইচ্ছা হয়েছিল ভারী,
একবার অনন্ত ফুঁপিয়ে কাঁদে;
তবু পারেনি…
না প্রকাশ্যে না গোপনে,
বুকে মেঘ জমেছিল তারই।

এরপর এক ব্যর্থ দুপুরে
আদর ছোঁয়ানো ছোট্ট ঠাকুমা
ছেড়ে চলে গেল একা;
দুপুর পেরিয়ে নিষ্ফল রাত,
শুধু ভিতরে জমেছিল কান্না।

বছরের পর বছর পেরিয়েছে
কবে সে বিদায় নিয়েছে বাহানায়,
হতাশা, ক্ষোভ, অভিমানের মাঝেও,
ছুঁতে পারেনি তাকে কান্নায়।

অথচ কাঁদতে পারা কত ভালো ছিল!
তা মিলিয়ে গিয়েছে বহুদূর,
কান্না হয়তো মেলাতো সব,
বিচ্ছেদে যা থেকেছে দূর।

শুকনো হাসির মরা দুনিয়ায়
শুকনো থেকো আয়না;
কাঁদতে বড্ড সাহস লাগে!
নয় সে দুর্বলের বানানো রাস্তা।।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *