শ্রীচরনেষু মা,
মুঠোফোনের যুগে অবাক হচ্ছো তো তোমাকে চিঠি লিখছি বলে? কিছু কথা আছে যেগুলো কখনই আমি ফোনে বলতে পারতাম না।
না না ভেবোনা ,আমি নিজের ঘর ছেড়ে তোমাদের সংসারে এসে জুটবো। যদিও কোনটায় আমার নিজের ঘর নয়।
আমি খুব বোকা জানো মা,ভাবতাম বিয়ের পরে আমারও নতুন একটা সংসার হবে।
কিন্তু সে গুড়ে বালি! তোমার জামাই কখনও আমার শরীর ছাড়া কিছু বুঝেছে বলে মনে হয় না।
রাতে যখন ও আমার নগ্ন শরীরটা কে ব্যবহার করতো খুব কষ্ট হতো মাঝে মাঝে। আমিও এসব মেনেই নিয়েছিলাম। কিন্তু আমার সহ্যের সীমা ছাড়ালো সেদিন, যেদিন ওর দুটো মদ্যপ ,লম্পট বন্ধু মিলে….
থাক আর নাই বা শুনলে! তোমাকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে আমি ভালো নেই মা!
বিবাহিতা হয়েও ধর্ষিতা হয়েছি প্রতিরাতে ।তুমি হয়তো এটা শুনে হাসবে!আমাদর সমাজের কাছে অবশ্য আমরা চিরকালই হাসির খোরাক!
আমি ভেবেছিলাম কেউ না বুঝুক তুমি অন্তত বুঝবে।কিন্তু না!! সব বুঝেও আমাকে বলেছো ‘একটু মানিয়ে গুছিয়ে চল বাবু’ হয়তো তুমিও অন্য সবার মতো ভেবেছিলে ” লোকে কি বলবে?”
কিন্তু তুমি তো জানো মা দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষ কি করতে পারে। তিলে তিলে মরতে আমি পারলাম না গো।
তোমার জামাইকে লুকিয়ে দু একটা চাকরীর খোঁজ করছিলাম বহুদিন ধরেই।
তোমাদেরও আর বলা হয়ে ওঠেনি বা আমি চাইনি।
কাল শিলিগুড়ির একটা ছোটো স্কুল থেকে মেইল এসছে।
আমি চললাম মা তোমাদের সবার প্রতি একরাশ অভিমান নিয়ে। যোগাযোগের কোনও চেষ্টা কোরোনা ।
সংসারটা আমার দ্বারা হলো না।
ভালো থেকো তোমরা ।তোমাদের আমি খুব মিস করবো।
ইতি ,
তোমার আদরের বুবলাই