আমরা বড় ভীতু তাই না? সত্যিই তাই।
আমাদের ভীরুতা বা কাপুরুষতা কখন প্রকাশ পায় জানেন?
যখন কোনো একাকী অসহায় মহিলা উন্মত্ত ছেলেদের কামাতুর চোখ থেকে বাঁচতে আমাদের সাহায্য চায় – ঠিক তখনই সবথেকে বেশি আস্তিনের ভিতর আমাদের হাতটা ঢোকে। এমন নির্লিপ্ত ভাব নিয়ে আমরা তাকাই যেন কিছুই জানিনা, আদপে কিছুই হয়নি।
মানুষ জাতটা বড় ভীতু। প্রমাণ চান? আরো আছে। এই যে পুলওয়ামার ঘটনাটা, এতগুলো সৈন্য মারা গেছে। আমরা ফেসবুক বা হোয়াটস অ্যাপে সমবেদনা জ্ঞাপন করেই শান্ত।
এটা কী কাপুরুষতা নয়? অবশ্যই কাপুরুষতা। কই সে আগুন আছে কী? যে আগুন দিয়ে ওই জঙ্গিদেরকে ঝাঁঝরা করতে পারি। বলুন আছে আগুন? না তো।
আমরা কী পারি জানেন? শুধু ভারতে বসে একটা বিশেষ ধর্মকে আমরা দোষারোপ করতে পারি।আরে মশাই ধর্ম হয়না ওদের। ওরা জঙ্গি ওরা মানুষ মারতে জানে এটাই ওদের ধর্ম। বিকৃত মানুষদের ধর্ম হয় না কখনও।
আচ্ছা, সাহস আছে? বুকে আগুন আছে? তাহলে নিজের ঘরের ছেলেমেয়ে গুলোকে আর্মিতে পাঠান দেখি। পেপারে পড়লাম, এই জঙ্গিহানায় নিহত কোনো এক অফিসারের বাবা বলেছেন তিনি তার ছোটো ছেলেটাকেও বড় ছেলেটার মত আর্মিতে পাঠাবেন। যাতে সে বদলা নিতে পারে। বলুন এটা বলতে পারবেন?
আমরা কাপুরুষ জানেন? খুব কাপুরুষ। যখন চোখের সামনে মিথ্যেটাকেও মিথ্যে জেনে সত্যি বলে মানি। আসলে আমরা ভয় পাই সত্যের নগ্ন রূপ দেখে।
সেই কবি কবেই বলেছেন, “সে ছেলে হবে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।” আসলে কাজের মানুষ আর মানসিকতা দুটোরই এখন খুব অভাব। আমরা শুধু দোষারোপ করতে জানি যেমন জঙ্গিরা মারতে জানে।
কী ভাবছেন কাপুরুষ হয়ে সারাজীবন চলবে? না মশাই না। এই সমস্যা চিরকালের। আজ অন্যের সমস্যাতে আপনি হাত গোটাচ্ছেন কয়েকদিন পর কেউ আপনার সমস্যা দেখেও চোখ বুজে থাকবে।
তাই বলছি এখনও শোধরানোর সময় আছে, চলুন শুধরে নিই সবাই মিলে। আসলে সমস্যাটা হচ্ছে কাপুরুষ মনোভাবাপন্ন ওই ভাবটা, নির্ভীকতার পাঠ আমাদের দরকার।
বিশেষত এই সময় যখন দেশের অবস্থা ক্রমাগত বিদেশি শক্তির দ্বারা ক্ষতবিক্ষত হয়ে আছে। এ সময় দরকার শুধু উচ্চ শিরের আর নির্ভীকতার পাঠের।