বর্ষাকাল আমাদের কমবেশি সকলের কাছেই প্রিয়। ঝিরঝিরে বৃষ্টি ,মনোরম আবহাওয়া আর চায়ের কাপে ব্যালকনিতে বসতে পছন্দ করেন অধিকাংশ মানুষই । বর্ষাকাল যেমন সুন্দর তেমন ভয়ংকর।
বর্ষাকাল মানেই মশা এবং ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার উপদ্রব। এই সময় ডেঙ্গুর মতো ভয়ানক রোগ হয়। এছাড়া ভাইরাল ফিভার, সর্দি, কাশি তো লেগেই আছে।
কিছু সতকর্তা ব্যবহার করলে আমরা বর্ষাকালে নিজেদের সুস্থ রাখতে পারি। এরকমই কয়েকটা সতকর্তা নীচে দেওয়া হল।
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া বর্ষাকালে জীবিত থাকে এবং এদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়।
আপনি রাস্তা পারাপারের সময় কিংবা কোনো রেলিংয়ে হাত দিলে, ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারেন। তাই নিয়ম করে হাত পরিষ্কার রাখুন।
ফ্লু ভাইরাস সাধারণত নাক, চোখ ও মুখের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করে।
তাই চোখ থেকে যতটা সম্ভব হাত দূরে রাখুন। কপালের ঘাম মোছার জন্য ব্যবহার করুন রুমাল।
বর্ষাকাল মানেই এদিক সেদিক জমা জল। এই জমা জল থেকে ডাইরিয়া, কলেরা, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও বিভিন্ন চর্মরোগ হয়ে থাকে।
তাই যতটা সম্ভব নিজেকে ঢেকে রাখুন। মাস্ক ব্যবহার করুন।
জমা জল এবং তার আশেপাশের স্থানগুলো এড়িয়ে চলুন। রাত্রে মশারি অবশ্যই ব্যবহার করুন।
রাস্তার খাবারের থেকে হয়তো আপনি দূরে থাকতে পারেন না, তবুও বলবো বর্ষাকাল চলাকালীন এগুলো এড়িয়ে চলুন। রাস্তায় এই খাবারগুলো খোলা রাখা হয়।
বায়ুবাহিত এবং জলবাহিত অনেক রোগ এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
তাই বর্ষাকালে বাইরের খাবার অপেক্ষা বাড়ির সতেজ খাবার খান এবং সুস্থ থাকুন।
ইউক্যালিপটাস তেলের সুবাস আমাদেরকে সহজেই শ্বাস নিতে সহায়তা করে। এই তেল আমাদের রিল্যাক্সড থাকতে সাহায্য করে।
নাকবন্ধ কিংবা জ্বরে যখন আপনার দেহ বিধ্বস্ত তখন এই ইউক্যালিপটাস তেল আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে।
এছাড়াও বর্ষাকাল থেকে সুস্থ থাকতে আদা, লবঙ্গ, গোলমরিচ এর সাথে চা পান করুন এবং ব্যলকনিতে বসে মনসুন মেলোডিতে বৃষ্টিস্নাত বিকেল অনুভব করুন।
এমনিতে আমাদের দেশে জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাই বৃষ্টির সত্যিই খুব দরকার। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আমাদের আরোও বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।
বর্ষার জল সংরক্ষণ করতে হবে। বর্ষাকাল থেকে নিজেকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হওয়াটাও খুব জরুরি। তবেই আমরা শারীরিক ও মানসিক দুদিক থেকে সুস্থ থাকতে পারবো।