২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হতাশাজনক হার হয় ভারতীয় ক্রিকেট টিমের। ৪ বছরের স্বপ্ন ওই একটা ম্যাচে শুরু ও শেষ হয়ে যায়।
গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল টিম ইন্ডিয়ার। ব্যাটে দুর্ধর্ষ ফর্মে ছিলেন রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল।
ওপেনিং জুটির ওপর ভরসা করে একের পর এক ম্যাচে ভালো ফল করছিল টিম ইন্ডিয়া। সঙ্গে ছিল বুমরার অসাধারন বোলিং।
চার বছরের দেখা স্বপ্ন যেন সত্যি হবেই। শুরু থেকেই ১৩০ কোটি মানুষের মনে এমনই বিশ্বাস ধরে গিয়েছিল।
কিন্তু সেমিফাইনালে কিউইদের বিরুদ্ধে ২৪০ এর টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে পড়তে থাকে একের পর এক উইকেট। টপ অর্ডার ভেঙে চুরমার করে দেয় ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্ট।
টুর্নামেন্টের সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে যায় ভারত। মিডল ওর্ডারের সামনে চলে আসে বড় চ্যালেঞ্জ। লড়েও দাঁড়াতে পারেনি মিডল ওর্ডার।
৯২ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় ভারতের। ১৩০ কোটি ভারতবাসীর দেখা স্বপ্ন যেন ভাঙতে শুরু করে।
ক্রিজে আসেন রবীন্দ্র জাদেজা। নির্ভয়ে খেলতে থাকেন তিনি। ছক্কা মেরে পূর্ণ করেন টিমের শতরান। ১৩০ কোটি মানুষ তখন আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল।
জাদেজা ৫৯ বলে ৭৭ রান করে আউট হয়ে যান। তারপর গুপ্টিলের থ্রোতে ধোনির রান আউটে স্বপ্ন চোখের সামনে ভাঙতে দেখা যায়।
ইন্ডিয়া টিমের মিডল অর্ডার নিয়ে এরপর অনেক প্রশ্ন উঠছে। তার সঙ্গে থাকছে ধোনির প্রসঙ্গ।
এম এস ধোনি খেলবেন কি খেলবেন না এই নিয়েও উঠছে অনেক প্রশ্ন। বিশ্বকাপে তাঁর স্ট্রাইকরেট নিয়ে উঠেছে হাজারো প্রশ্ন। শুরু থেকে সেট হয়ে গেলেও পরের দিকে তাঁর স্ট্রাইকরেট নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিসিসিআই।
তবে ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলিই থাকবেন। এমনটাই জানিয়েছে বিসিসিআই।
উইকেট কিপার হিসেবে নাম উঠে এসেছে রিষভ পন্থ এর। এক্ষেত্রে ধোনিকে হয়তো প্রথম এগারোতে দেখা যাবে না।
ইন্ডিয়া টিমে তরুণদের দরকার এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সঞ্জু স্যামসন, রিষভ পন্থ, ইষাণ কিশান এদের মতো খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গাম্ভীর।
তিনি আরও বলেছেন ধোনিও নতুনদের এভাবেই সুযোগ দিয়েছেন এবং তিনি একজন বিশ্বজয়ী ক্যাপ্টেন। তিনি শুরু থেকেই নতুনদের পাশে থেকেছেন এবং টিম গড়েছেন।
ধোনি ছাড়া টিমকে এগোতে হবে এবার, এমনই বার্তা বিসিসিআই এর তরফ থেকে। ধোনিবিহীন ভারত! ভাবতেই অবাক লাগছে!
২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ হবে ভারতের মাটিতে। তাই আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু। তরুনের হাতে ভর করে ঘরে ফিরে আসবে বিশ্বকাপ। আশাবাদী ভারতবাসী।