কিন্তু বাস্তবে হয় ঠিক বিপরীত… মানুষ যা চায়, তা সে পায়না…
আর যেটা সে পায়, তা আদৌ চায়না। আর ঠিক সেইখানেই দেখা দেয় ঘোরতর সমস্যা। সদাহাস্য মুখের দরাজ দিলের খোলামেলা শিল্পপ্রেমী একটা মানুষ যখন সাংসারিক জটিলতায় জড়িয়ে পড়ে, যখন সে “শিল্প-সংস্কৃতি”-র কথা বললেই শ্রোতারা “চপশিল্প”-এর উন্নয়নকল্পে মতামত দিতে এগিয়ে আসে, তখনই ঘটে বিপত্তি।শিল্পপ্রেমী সৃজনশীল মানুষটির মনোজগতে চলতে থাকে তোলপাড়।
প্রথমে শিল্প-সংস্কৃতিসম্পন্ন মানুষটি ভীষণভাবে চেষ্টা করেন তিনি যাদের মধ্যে এসে পড়েছেন, তাদের মধ্যে একটি রুচিবোধ গড়ে তোলার এবং তার প্রচেষ্টাও থাকে অত্যন্ত আন্তরিক। কিন্তু যখন বারবার প্রতিবার তিনি বিধ্বস্ত হন নিজের প্রচেষ্টায়, তখন তিনি গুটিয়ে নেন নিজেকে।
গুটিয়ে নেন সেই শামুকটির মত বা সেই কচ্ছপটির মত যারা আঘাত আসতে পারের আশঙ্কায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই প্রাকৃতিকভাবে কঠিন আবরণ ধারণ করেছে। তিনিও নিজেকে গুটিয়ে নেন এমনভাবেই যাতে সমাজ-সংসার বা পারিপার্শ্বিক কেউ তাকে অন্ততঃ নিজেদের স্তরে নামিয়ে নিয়ে যেতে না পারে।
তিনি তখন সার্বজনীনতা ভুলে মন দেন তার রুচিসম্মত অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার দিকে— এও কিন্তু এক জীবনযুদ্ধ।