সৃষ্টি কোনো সীমানা বা বাঁধা মানে না। কঠোর পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিভা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা সকলের মধ্যে বিরাজমান।কর্মের ফল কখনও জাতি-ধর্ম-বর্ণ অনুযায়ী বিভক্ত হয় না।আসুন আমরা সকলে নতুন প্রতিভার সম্বন্ধে অবগত হওয়ার চেষ্টা করি-
গত বুধবার বাংলার মাটিকে গর্বিত করল আধুনিক প্রতিভাশীল এক অঙ্কন শিল্পীর নতুন সৃষ্টির মাধ্যমে। তিনি পেশাগতভাবে কুম্ভকার সম্প্রদায় নয়! বরং এক অভাবী তন্তুজীবী পরিবারের পুত্র। একাধিক প্রতিমা নির্মাণের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে দেশের নানা প্রান্তে প্রশংসা কুড়িয়েছেন শান্তিপুরের আধুনিক শিল্পী শুভজিৎ দে।
তাঁর নির্মিত এক কালী মূর্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে কানাডার এক প্রবাসী বাঙালি,আজ থেকে প্রায় দুইমাস পূর্বে অর্ডার করে দুর্গা প্রতিমা তৈরী করার,সাথে কিছু এডভান্স মজুরি দেন।
মূর্তিটি দূরবর্তী স্থানে পাঠানোর কথা ভেবে, শুভজিৎবাবু একটু বেশি পরিমাণে অর্থ খরচ করে ইপক্সি কম্পাউন্ড নামক এক প্রকার উপাদান দিয়ে, প্রায় এক মাস ধরে নিজের হাতে তৈরি বিভিন্ন সরঞ্জাম ও তুলির টানে সঞ্চিত করে তোলেন আড়াই ফুটের দুর্গা প্রতিমা। এই সৃষ্টি শুধুমাত্র বাংলার নয়, সমগ্র দেশের গর্ব।
শিল্পীর পিতা নবকুমারবাবু জানান, তাঁত বুনে স্ত্রী ও এক ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার চালান কোনওরকমে। ছোটবেলা থেকেই ছেলের প্রতিভা আছে বুঝতে পারলেও তা বিকাশের কোনও সুযোগ করে দিতে পারেননি। তবে ওঁর শিল্পকর্ম আগামীতে দেশের বাইরে সমাদৃত হবে বলে তাঁর বিশ্বাস ছিল।
শিল্পী শুভজিৎবাবু জানান, আঁকার প্রতি ভালোবাসা থেকেই মূর্তি তৈরি সহ নানান শিল্পকর্ম আরম্ভ করেন। অভাবের সংসার হলেও তাঁর মা সর্বক্ষণ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। তবে সরকারি সুযোগ মিললে একটি ওয়ার্কশপ গঠন করতে চান।তবে সেটা না হলে অঙ্কনের শিক্ষকতার মধ্য দিয়েই শিল্পকর্ম চালিয়ে যাবেন।