অদুরের আগমন
নিবিড় চলনপথে আপন গতিতে,
পরিস্থিতির পরোয়া অস্তিত্বহীন –
ক্রমে আগামীর প্রসার
কল্পনায় আলীন সোনার পাথরবাটিতে,
মলিন হিমরেখায়…
গনগনে দিনের আঁচ ভুলে
একটুকরো প্রশান্তি প্রায়শই
নেমে আসে শেষরাতে, শিথিল শিশিরের মতো,
তার চাওয়া শুধু চাহনির বিনিময়ে
দুঃস্বপ্নের দু’চোখে,
ধুলোয় জিয়োনো সাতজন্মে
একটু অধর লেহনের খিদে;
চকমিলানো কথা সেখানে রোচে না
রোজকার এই অভ্যস্ত অনুশীলনে –
কাশির দমকে নাড়ি উছলে ওঠে
তবু ভেজার ইচ্ছেটুকু আর হয়নি,
হবেও না কোনোদিন, ওই যে
মুখের কশ বেয়ে ঝরছে…তার নামমাত্র জীবন…
এতেই চিরকালের নিহিত সুখ
নিরলস ঘামে শুয়ে আছে, শরীরের সুবাস
পারাপারের নয়ানজুলিতে
আজন্ম বিশ্রাম নিয়ে চলে ঘুমে,
সময় হয়তো বা ফুরোয়
আশ কিন্তু সেই অনুকারের মতো
দীর্ঘকালের অবর-সবরে,
শুকনো শীকরের গাত্র বেয়ে
একেবারে নতুন হয়ে চিকচিক করছে…
অলিন্দের ভাষা স্থগিত রেখে
নিভন্ত ধুনির ধূমে জ্বলছে ধিকি ধিকি,
তবে একা নয়
এ প্রহরের প্রবাসীও বড়ো সুন্দর…
(ক্রমশ)