আমি চাই যেন আমাদের আর কখনো দেখা না হয়। আর কোনদিন যেন আমরা মুখোমুখি না হই। কোন কারণে বা অকারণেই যেন তোমার চোখ, আমার চোখে না থেমে যায়। আর কোন ভর দুপুর কিংবা পড়ন্ত বিকেলে ক্যাম্পাসের ঐ করিডোরের সিড়ি দিয়ে তোমার আনাগোনায়, আমার উপস্থিতি যেন না থাকে। আমি চাই তুমি আমার বুকের ভেতর খুব গভীরের কোন ঘরে চুপটি করে থেকে যাও। কোন সাড়া- শব্দে, আবেগ- সম্পর্কে আমি তোমাকে, অন্তত বাঁধতে চাই না। আমি চাই তুমি আমার জীবনের ঐ একটা ছেঁড়া পাতা হয়ে থেকে যাও, এই কালিমাখা চোখে।
তোমার সাথে আমার, দূরত্বের ভাব। তুমি জনিত সকল ঘটনা আমি কাকতালীয় অজুহাতে রেখে দিতে চাই। ভেবে নিতে চাই তুমি কোনদিন আমার দিকে তাকাও নি। কোনদিন ইচ্ছে করে আমার কোল ঘেঁষে হেঁটে যাও নি। ভেবে নিতে চাই তুমি কোনদিনই আমার স্পর্শ লাগা চেয়ার ছুঁয়ে দেখো নি। তবে সেদিন তোমার স্থিতিশীল দুই চোখের মণিতে যেরকম করে আমার দুটো চোখকে তুমি আটকে রেখেছিলে, আমি কি করে ভেবে নেবো তাও কোনদিন হয় নি?
তোমার আমার মাঝে একঝাঁক সামাজিক, ধার্মিক দূরত্ব। এই দূরত্ব, ভালোবাসা দিয়ে মেটানো যায় কি না আমি জানি না। তবে আমি তোমায় ভালবাসতে চাই না। চাই না তোমার ঐ চোখ দুটোর প্রেমে পড়তে। আমি জানি এই যে তোমার চোখের মায়াটা, আমার মনে তোমার প্রতি ভালোবাসা জাগাতে বাধ্য করবে, আর ভালোবেসে ফেললে সেই ভালোবাসাকে পদে পদে অপদস্থ হতে দেখতে পারার সাহস আমার মাঝে নেই। এক ফোঁটাও নেই।
তাই আমি চাই তুমি আমার স্মৃতিতেই ভালো থাকো। কোন এক ভরা সন্ধ্যায় এমনি হঠাৎ তোমাকে আমি মনে করবো। একটা দীর্ঘশ্বাসে আফসোস করবো তোমাকে ভালোবাসতে না পারার ক্ষমতা নিয়ে। হয়তো তখন নিজের উপর খুব রাগ জন্মাবে। বা দুঃখ হবে, কেন কাছে টেনে নেই নি, কাছে টেনে নিতে দেই নি।
আমি চাই তোমার মনে আমার জন্য কোন অনুভূতি যেন কোনদিন না জন্মে। আমার কথা যেন কোনদিন তোমার মনে কুড়ে কুড়ে ঘর না বাঁধে। আমি তাই, চাই। তুমি যেন তোমার ধর্ম কর্ম নীতি নিয়ম মেনে জীবন সঙ্গী পাও, ঘর বাঁধ, ভালো থাকো। আর আমি! আমি তোমার দেয়া কিছু মুহূর্তের স্মৃতি ধারণ করে বেশ ভালো থাকবো।