রোশনাই

আজকাল সানাই বা ভিয়েন না বসলেও, একটু প্রভাবশালী হলে,

দু-তিন দিন আগে থেকে বোঝা যায় যে বাড়িতে বিয়ে লেগেছে।

আমাদের প্রেমটা সেই ক্লাস সিক্স থেকে, যখন বুঝেছিলাম হৃত্বিকের চেয়ে বেশী তোকে ভালো লাগে।

আজ আমি এম.এ পরীক্ষায় বসব, তুই সরকারী চাকর, এতো বছর প্রেমটা টিকে গেছে!

ঝগড়া তেমন হয়েছিল রে? তুই তো আমায় ছাড়া কারো দিকে তাকাতিসও না!

আর আমার গায়ে ডিও এবং তুই ছাড়া আর অন্য কোনো গন্ধই পাওয়া যেত না।

বিয়ে নিয়ে কথা হলেই তুই বলতি— “চিরকুমার থাকব তবু অন্য কাউকে বিয়ে করব না”

আর আমি বলতাম— “তুই অন্য কাউকে বিয়ে করলে, তোর বিয়ে খাবো না”।

সেদিন যখন তুই অর্ধেকটা আমার ভীতরে থাকাকালীনই জানিয়েছিলিস— “মায়ের জন্য বিয়েটা করতেই হবে”…

আমি সেদিন চেঁচিয়েছিলাম আর্তনাদে। গাধা-তুই ভয়ে বের করে নিয়েছিলি। …কাল তোর বিয়ে।

আমাদের মা-বাবারা জানে আমরা প্রাণের বন্ধু। পাশাপাশি বাড়ি হওয়া সত্তেও একে অপরের বিছানায় রাত কাটাই।

আমি বাবার বেকার ছেলে, তুই নাকি আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড! পাশের বাড়িতে থাকি! “সামাজিক-উচিত” মতে বিয়ের সব কাজ তো আমার করার কথাই।

তরশু তোর বিছানায় হয়তো অন্য কেউ তোর নিচে শোবে। আমার মতোই তোর বুকের লোম হাতড়াবে। আমার মতো হয়তো তার বুক ছোটো হবে না!

না কথা দিয়েছি যখন, তখন তোর বিয়ে খাবো না। কিছু একটা করব! তোর বিয়ে দেখব না।

“असतोमा सद्गमय।तमसोमा ज्योतिर् गमय। मृत्योर्मामृतं गमय” ।।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *