ফুটপাত ধরে পরোয়ানাহীন মন নিয়ে হাঁটছি, খেয়াল আমার, ভাবনা স্বাধীনতার ছাঁচে আটকে, স্তিমিত চলার গতি…
লালচে সূর্য বেশ ঘোরালো, প্যাঁচালো, তেজের সাথে আমার মেলানিন বেশ খাপ খাচ্ছে,
মনের থলিতে প্যাঁচ কষছি পরোয়ানাহীন নেই উত্তর দিয়ে,
আমিত্বতায় ভুগছি ভীষণ, নেশাড়ির মতো।
হঠাৎ একটা উগ্রপন্থী গন্ধ, বীভৎস।
কিছু দৃষ্টি সজাগ সজীব আমার দিকে আঙুল তাক করে,
পর্যবেক্ষণ পিয়াসী, যৌথ আলেখ্য নিয়ে প্রথমে তর্জনী, দ্বিতীয় আঙুল, তৃতীয় এক এক করে পুরো হাতটা আমাকে তাচ্ছিল্য শাসণ দূষণে পেছনে সরতে বলছে…
বলছে যাও, দেওয়ালে পিঠ ঠেকাও।
মেয়েমানুষ তুমি, এতো নিজগুণ গ্রাহীতা, এতো নিজেকে টেনে তোলার রাস্তা এই সমাজকে পরোয়ানাহীন বেআব্রু করো।
আমি স্থবির, হিসেবের প্যাঁচ গিয়ে আরোও জোরালো হলো,
অকৃত্রিম জটাবিন্যাসে ঘনীভূত হচ্ছে কি শঙ্কার!
ভাবলাম বেকার বিকার এ সবের এবার শিকার, নিলাম হতে হবে বুঝি! না তর্জনী আর ধোঁয়ার ফাঁক রাখতে কিছুতেই দেবো না… কিছুতেই না।
আমি আঠেরোর প্রাক্তন বছর ছয়েক আগে,
আমার স্বাধীনতার দাম দিয়েছে চব্বিশটা বসন্ত,
বোহেমিয়ানের দস্যু আমার পরোয়ানাহীন আবালসখ্যতা, পেটের টানের মাশুল গোনে পরিজন,
শখের অজুহাত পোহায় সোহাগ আমি,
সেখানে সামাজিক কীটধরা বোধিসত্ত্বদের মানবো?
ওই বটবৃক্ষদের যাদের ফোঁকরে মানুষ শান্তির আশ্রয় পায় না, যাদের ডালে পাখিরা নষ্টনীড়ের চারুলতা হয়… তাদেরকে মানবো!
হাতের ফোস্কা তেলে নয় সিগারেটে হয়;
বিপদ অজানা নয় রাত তাই প্রিয় অতিথি,
শরীরী বিজ্ঞাপন নয় স্বচ্ছন্দতা স্বাদে মাখা,
লজ্জা!! মার্জিত!! রুচিবাদ!! শালীনতা!! কি দিয়ে মাপে ওরা?
মাপকাঠি তো পরোয়ানাহীন ভোঁতা গ্রাফাইট মোড়া।
নাহ্ খিস্তি দিতে প্রস্তরযুগের তর্জনী মানিনি নি;
ভাষার জাত চেনাতে নারী-পুরুষের স্বাদকোরকের আগ্রাসন নীতির ফারাক মাপে তারা!
আর আজ কাদের মদতে ট্যাবলেট স্বাধীনতা কপচাবো?আমার আমি এর তৃতীয় পুরুষ কে পৌরুষত্ব চাপে হদিশ হাপিস করে যারা?
স্বকীয় শিক্ষিতদের হরবোলা আর আমার সমাজ মাখেনা, কারণ মেয়ে ঢাকার বোরখা মদত সব ঘোমটা মানে না।
জাতের আরোপ ঝলসে নেবেন, নিজের বুক পকেটে ছিদ্র করে,
ফাঁকির লজিক দায় সেরেছে, দর মাপবেন চোখ পাগিয়ে তারস্বরে।
আমারটা সব দোষের খাতায়! পরোয়ানাহীন হলফনামায় ওদের বিচার বেওয়ারিশ;
মানসিকতায় কাপড় চাপুক, মেয়ের আগে মানুষ বসে পাল্টা আসুক।।