সেই ভোর থেকে রাত
কেটে যায় একরকম, কিছু উষ্ণতার
মাত্র এক শব্দের রোমন্থন
সজীবতার সামান্যটুকু উপমায়,
খোলসের মতো ছড়ানো-ছিটোনো
ঝরা পাতার বিছানায় কতগুলো
হাড় জিরজিরে শরীর,
স্পন্দনের শেষ আশ্বাসে গড়িয়ে পড়ছে
কোটরের ঢাল বেয়ে,
সদ্য জেগে ওঠা
ছটাক খানেক নেশার গন্ধ
ছড়াচ্ছে গলি থেকে বড়ো রাস্তায়,
সেদিনের কথার পিঠে
পরিণতির ছাপ বুনতে বুনতে;
চারপাশ এর চেয়ে অনেক বেশি ছিমছাম –
অগোছালোর ঘেরাটোপেই লুকোনো
যত সৃষ্টির রসদ, বেমানানের তকমায়
অবশিষ্ট প্রাণের হাঁফ ছেড়ে বাঁচা,
শুনতে তো চায়নি কেউ…
জেনেও অজানা হয়ে
কোথায় এককোণে জমে গেছে,
একখানা পাগলের পরিচয়ে
শিশুর সারল্যে ঘুমিয়ে রয়েছে সে;
কালচে চামড়াটা রোদের ওমে
জলের ছাটে বড়োই স্বচ্ছন্দ,
এই কালকেই যেন তাদের জন্মদিন
পায়ে পায়ে এগিয়ে আসছে
গোধূলির সীমায়, তবু অবুঝ বলেই
মুখ এঁটো করা হাসিটুকুর
অন্ত নেই আজও…
(ক্রমশ)
প্রথম পর্বঃ কথোপকথন মুহূর্তের নয়