সর্ষে ইলিশ থেকে ডালগোনা কফি, লকডাউনে আর কিছু হোক বা না হোক বাঙালীর ভুরিভোজ বন্ধ হয়নি। মেইন কোর্সের পাশাপাশি ডেসার্টটেও ছাড় দেয়নি খাদ্যরসিক মন।
সন্ধ্যের দিকে প্রায় নব্বই শতাংশ লোক চা খান। একটা রিফ্রেশমেন্ট না হলে যেন ঠিক জমে না। এই সান্ধ্য আড্ডায় অনেকে আবার পছন্দ করেন কফি। তাই আজকে চকোলেট ক্যাপুচিনোর রেসিপি নিয়ে এসেছি। সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে এবং কম উপকরনে।
উপকরন :- চকোলেট, ১ টেবিল চামচ ইন্স্ট্যান্ট কফি, দেড় কাপ দুধ, ২ টেবিল চামচ গরম জল, চিনি পরিমান মত, কোকোয়া পাউডার, চকোলেট সিরাপ।
পদ্ধতি :- প্রথমে একটা পাত্রে কফি নিতে হবে। তারপর সেটাতে গরম জল দিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। তারপর মিক্সার গ্রাইন্ডারে দুধ নিতে হবে। তাতে চকোলেট যতটা খেতে পছন্দ করা হয় ততটা দিতে হবে। তারপর কোকোয়া পাউডার দিতে হবে। এই স্টেপটি স্কিপ করা যেতে পারে। তারপর তাতে গরম জলে কফির মিশ্রনটা দিয়ে দিতে হবে। তারপর অল্প পরিমান চকোলেট সিরাপ দিতে হবে। তারপর পরিমান মত চিনি দিতে হবে। চাইলে একটু হুইপড্ ক্রিম বা আমুল ফ্রেশ ক্রিম যোগ করা যেতে পারে। তারপর সেটাকে ভালো ভাবে মিক্সিতে মিশিয়ে নিতে হবে। মিক্সি না থাকলে হ্যান্ড ব্লেন্ডার ব্যবহার করা যেতে পারে, নয়তো এমনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে হাতে করে মেশানো যেতে পারে।
সম্পূর্ণ মিশ্রনটি ভালো ভাবে মিশে যাবার সর সেটির ওপর একটি ফেনার আস্তরন তৈরি হবে। সেটিকে বাঁচিয়ে তরল মিশ্রনটিকে পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। তার ওপর সেই ফেনার আস্তরনটি আলাদাভাবে যোগ করতে হবে। পাত্রে কফির পুরো মিশ্রনটি ঢালার আগে চাইলে পাত্রটিকে গার্নিশ করে নেওয়া যেতে পারে। চকোলেট সিরাপ পাত্রের গা বরাবর ঢেলে গার্নিশ করা যায়। এবং মিশ্রনটি ঢালার পর তাতে কয়েকটা আইশ কিউব যোগ করা যেতে পারে।
চকোলেট সিরাপ চাইলে বাড়িতে বানিয়ে নেওয়া যেতেই পারে। উপকরন :- চকোলেট বেশি করে, দু কাপ দুধ, হাফ কাপ চিনি, এক কাপ জল, অ্যারারুট/কর্ণফ্লাওয়ার।
পদ্ধতি :- প্রথমে পাত্রে জল এবং চিনি নিয়ে ভালো করে ফোটাতে হবে। তাতে দুধ এবং চকোলেট দিয়ে ভালো করে ফোটাতে হবে। আর সমানে নাড়াচাড়া করে যেতে হবে যতক্ষন না চকোলেট সম্পূর্ণ গলে যায়। তার পর তাতে অ্যারারুট/কর্ণফ্লাওয়ার দিয়ে ফোটাতে হবে। যতক্ষন না মিশ্রনটি গাঢ় হয়ে আসে। তারপর সেটিকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিলেই চকোলেট সিরাপ তৈরি।
তো এই ছিল চকোলেট কফি/ক্যাপুচিনোর সম্পূর্ণ রেসিপি। খেতে থাকুন ও খাওয়াতে থাকুন।