গ্রীষ্মকাল, ছয়টি ঋতুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থায়ী ও কষ্টকর। গ্রীষ্মকালে সবার কাছেই একটা খাবার চয়েসের ব্যাপার থাকে।
গ্রীষ্মকাল মানেই বাইরের জাঙ্ক ফুড ছেড়ে ফল খাওয়ার ঝোঁক আর নিজেকে যতটা সম্ভব বাইরের দাবদাহ থেকে সুস্থ রাখতে পারা।
এক সমীক্ষায় জানা গেছে শিশুরা গ্রীষ্মকাল চলাকালীন তিনগুন বেশি ওয়েট গেন করে, যা তাদের স্কুলের অন্য সিজনের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
সূর্যের প্রচণ্ড তাপ, আমাদের একেবারেই নাজেহাল করে দেয় গ্রীষ্মের দিনগুলিতে।
অনেকেই ডিহাইড্রেটেট এবং দুর্বল ফিল করেন বাইরে বেরোলে। তাই আমাদের আগে থেকেই সতর্ক হওয়া দরকার।
ঠিকঠাক খাবার এবং লাইফস্টাইল ফলো করলে আমরা নিজেদের অনেকটা সুস্থ রাখতে পারি গ্রীষ্মকাল ও রোদের থেকে।
এখানে কিছু খাবার নিয়ে আলোচনা করা হবে যেগুলোকে আপনি নিজের ডায়েট চার্টে অ্যাড করলে সহজেই গরমের হাত থেকে রেহাই পাবেন।
গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তরমুজ। তরমুজে প্রায় ৯০ শতাংশ জল থাকায়, তা আপনার শরীরের জলের চাহিদ মেটায় এবং অনেকটা ফ্রেশ রাখে।
দই যেমন খেতেও সু্স্বাদু, তার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরে অসাধারণ একটা ঠান্ডার প্রভাব ফেলে, যা গ্রীষ্মকাল থেকে স্বস্তি দেয়।
দই, লস্যি, রায়তা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। গ্রীষ্মকালে দই অতি প্রয়োজনীয় খাবারের তালিকায় রাখতেই হয়।
আপনি হয়তো চমকে উঠবেন পেঁয়াজের মধ্যেও ক্যুলিং প্রপার্টি থাকে ।
কাঁচা পেঁয়াজ খেলে আপনার স্বাদ নষ্ট হতে পারে, তাই লেবু, নুন এসবের সঙ্গে মিশিয়ে স্যালাড হিসেবে ওটাও আপনার ডায়েট চার্টে রাখতে পারেন।
পেঁয়াজ সানস্ট্রোক প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
লেবুজল, ডাবের জল এগুলো হল ন্যাচারাল রিফ্রেশিং ড্রিংকস।
একগ্লাস রিফ্রেশিং ড্রিংকসে অনেক স্বাস্থ্যকর গুন রয়েছে যা আপনাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তাই গ্রীষ্মকাল মানেই লেবুজল , ডাবের জল অপরিহার্য।
সবজির মধ্যে কুমড়োতে জলের পরিমাণ বেশি থাকায়, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমেও ভেতরটা ঠান্ডা রাখে।
এছাড়াও সবুজ পাতার শাকসবজি ডায়েটে অবশ্যই রাখা দরকার। তবে তা বেশিক্ষণ ধরে রান্না করলে জলীয় রস বেরিয়ে গেলে আর খাদ্যগুন থাকে না।
গ্রীষ্মকাল ও রোদের টেক্কা দিতে হলে এবার তাহলে ডায়েটে এগুলো যোগ করতেই পারেন। আর তার সঙ্গে পান করুন পরিমাত জল। রোদে বেরোনো যতটা সম্ভব কম করুন। সুস্থ থাকুন।