মোবাইল ফোনের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখুন। মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন। মানুষের ডেলি লাইফের অর্ধেকের বেশি সময় খেয়ে নিয়েছে সেলফোন।
ভোরবেলার জগিং থেকে আড্ডার বিকেল সমস্ত কিছুর মধ্যে মোবাইলে হাত লেগেই আছে।
সারাদিন এভাবে মোবাইলময় জীনযাপনে আপনি যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন, তা কপালের ছাপ, হঠাৎ রেগে যাওয়া, মাথা গরম হয়ে যাওয়া স্পষ্ট করে।
রোজকার একই পথে চলতে গিয়ে আমরা এখন প্রায়ই হোঁচট খাই। সজোরে ধাক্কা খাই ল্যাম্পপোস্টে।
তারপর আবারও সোজা হয়ে হাঁটতে শুরু করি, ঘাড় আবার নীচু হতে শুরু করে এবং এভাবে ক্রমশ চলতেই থাকে।
এই যে ধরুন আপনি মোবাইল নিয়ে সারাক্ষণ টিপেই যাচ্ছেন। চোখ উপড়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন নীল সাদা এলইডি স্ক্রিনে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকেই পড়েছেনে শরীর নিয়ে। সহ্য হয়ে যাচ্ছে বেশ!
চোখগুলো বাঁচবে কদিন এভাবে? ভেবে দেখেছেন কখনও? অবশ্য যখন ভাবার সময় তখন রাত পেরিয়ে ভোর, চোখ আধঘুমে। নোটিফিকেশন লাইটে প্রকাশিত হচ্ছে বিরক্তি।
ক্লান্তি তখন বিধ্বস্ত করেছে আপনাকে রাত্রির শেষ প্রান্তে। কোনক্রমে শেষ রাতে ক্লান্তিমাখা শরীর নিয়ে শুয়ে পড়েন আপনি।
বালিশের পাশে পড়ে থাকে মোবাইল। দিনের পর দিন এভাবে ক্রমাগত কমতে থাকে প্রতিরোধ ক্ষমতা। অজান্তেই ভেতরে ভেতরে ক্ষয় হতে থাকে শরীর।
এছাড়াও ধরুন হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে হলো আপনার। ভিজতে চাইলেও ভিজতে পারলেন না। ওই যে পকেটে দামি মোবাইল রয়েছে! আপনার ইচ্ছে অনিচ্ছা কেও বেঁধে রাখছে সফ্টওয়ার ভরা যন্ত্র।
মোবাইল ছেড়ে এবার একটু বাইরে আসুন। জগৎ টাকে দুচোখ দিয়ে মনভরে দেখুন। জানি অধিকাংশই দূষিত। তবুও ৬ ইঞ্চি এলইডির থেকে কিছুটা হলেও রেহাই! সবুজের দিকে তাকিয়ে থাকুন, সজীব হোন।
মোবাইল ফোনের প্রতি চুম্বকীয় আকর্ষণের গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে। মানসিক শান্তির ক্ষেত্রে এটা খুব জরুরি।
মোবাইল ফোনের প্রভাবে আমরা আমাদের সবকিছু হারিয়ে ফেলছি। হ্যাঁ, সবকিছুই!
এরপরও যদি সজাগ না হতে পারি তাহলে মাথা নীচু করে হাঁটা অভ্যেস করে নেওয়াই ভালো। এগিয়ে যান সমস্ত ধাক্কা সামলে।
এবার সচেতন হোন। ফোনের যথেচ্ছ ব্যবহারের আগে ভেবে দেখুন আপনি মোবাইল ব্যবহার করছেন নাকি মোবাইল আপনাকে ব্যবহার করছে !