পেটপুজো আর দুর্গাপুজো দুটোই সমানভাবে সামলে যাচ্ছে বাঙালি। চলছে রাত জেগে ঠাকুর দেখা, আড্ডা আর জমিয়ে খাওয় দাওয়া। আর পেটপূজো বলতেই যেটা সবচেয়ে আগে জিভে জল আনে তা হল লোভনীয় স্ট্রীটফুড। আর স্ট্রীটফুড বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ফুচকা, এগরোল, পাপড়িচাট এসব। সবরকম রেসট্রিকশন ভুলে এই পুজোর কটাদিন জমিয়ে বাইরে খাওয়া-দাওয়া করা।
ফুচকা
স্ট্রীটফুড বলতেই সবচেয়ে আগে যেটা মনে পড়ে তা হল টক-ঝাল ফুচকা। কি, জিভে জল এসে গেল তো? ঝাল ঝাল মুখরোচক পুর দিয়ে তেঁতুল জলে ডোবানো একটা ফুচকা পুড়তেই, আহা! কি অতুলনীয় স্বাদ। এ স্বাদ নেয় না এমন লোক কিন্তু কমই আছে। এছাড়া রয়েছে চুরমুর, টকমিষ্টি স্বাদের দইফুচকা। এগুলোও কিন্তু সমানভাবে মুখরোচক এবং জনপ্রিয়।
চাট
এবার আসা যাক চাটে। প্যান্ডেলের চারপাশে কত চাটের স্টল। যে কোনো একটায় ঢুকে স্বাদ নেওয়া যেতেই পারে নানানরকম চাটের। টকঝাল আলুকাবলি, চটপটি কিংবা পাপড়িচাট। টুকটাক মুখরোচক খাবার, বেশ ভালই লাগবে।
ঝালমুড়ি
মুড়ি, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, চিনেবাদাম, চানা, মশলা, সরষের তেল সহযোগে তৈরী হয় ঝালমুড়ি। বেশ পপুলার কিন্তু এই ঝালমুড়ি। দিন যতই যাক, এই স্বাদ কিন্তু বদলাবার নয়। এছাড়াও আছে ভেলপুরি। যার স্বাদও কিন্তু অনবদ্য।
রোল
আরও একটি জনপ্রিয় স্ট্রীটফুড হল রোল। এগরোল হোক বা চিকেনরোল দুটোই কিন্তু সমানভাবে জনপ্রিয়। আবার কেউ কেউ এগ-চিকেন রোলও অর্ডার করে। একটা কিনে নিয়ে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখতে দেখতে কামড় বসাতেই পারেন রোলে।
মোগলাই পরোটা
আর আছে মোগলাই পরোটা। পুজোয় এর দোকান কিন্তু কম পাবেন না। মাংসের পুর ভরা ডিম সহযোগে ভাজা পরোটা। একদিন সবাই মিলে আড্ডা দিতে দিতে মোগলাই পরোটা নিয়ে বসে যেতেই পারেন।
চপ-কাটলেট
চপ-কাটলেটাকে বাদ দি কি করে! পুজোয় সব ডায়েটের ছুটি, জমিয়ে নানান রকমের চপ-কাটলেটের স্বাদ নিয়ে নিন। কাটলেট, ফিসফ্রাই, চিকেন বা ফিস কবিরাজি সঙ্গে কাসুন্দি আর স্যালাড। জমে যাবে একবারে।
এত খাবারের নাম বলতে বলতে আমারই জিভে জল চলে এল। আজ তবে এই অবধিই থাক।
পুজো সকলের খুব ভাল কাটান, সুস্থ থাকুন। অনেক মজা করুন, অনেক ঠাকুর দেখুন, আড্ডা দিন আর জমিয়ে পেটপুজো করুন।