Malaria আসলে কি?

Malaria আসলে কি? কেন হয় malaria? Malaria হলে কি করবেন?
কোন খাবার গ্রহণ করবেন আর কোন খাবার বর্জন করবেন, এগুলো জেনে রাখা আমাদের অত্যন্ত জরুরি।
আর বিশেষ করে, season change বা অত্যধিক গরমে এই viral fever, সর্দি-কাশি, জ্বর, malaria এগুলো তো লেগেই থাকে।
আসুন তাহলে জেনে নিই malaria-র মশাদের একটু খবর,
আর তাদের থেকে বাঁচার কিছু সহজ উপায় ।

● Malari কেন হয়?
Female Anopheles মশা নামক একটা মশা আছে; যাকে আমরা সাধারণ মানুষরা অতটা আলাদাভাবে না চিনলেও,
ওই মহিলা মশাটি আমাদের ভালোই চেনেন আর উনি যদি একবার কামড়ে রক্ত নেন তাহলে তো হয়েই গেল!
Malaria-র হাত থেকে আপনাকে বাঁচায় এমন সাধ্যি নেই কারোর।
..এবার উনি তো দিব্যি কামড়ে চলে গেলেন। কিন্তু ফেঁসে তো গেলেন আপনি।
কিন্তু আপনি-ই বা কদিন সব ছেড়ে দিয়ে বাড়ি বসে থাকবেন!
তাই আপনাকেও জানতে হবে–
● সেরে ওঠার সহজ কয়েকটি উপায়:
1. গরম আপনার যতই লাগুক মশারি টানাতে যেন ভুলবেন না। কারণ আপনি যদি পুনরায় মশার কামড়ে আক্রান্ত হন,
তাহলে আপনার তো বিপদ আছেই আর তারপর ওই মশা যদি অন্য কোনো ব্যক্তিকে কামড়ায় তাহলে তারও আর রেহাই নেই।
তাই শত কষ্ট হলেও মশারি টা হোলো must..
2. এছাড়াও, আপনাকে এই সময় ফুলহাতা জামাকাপড় পড়তে হবে যাতে সহজে মশা আক্রমণ করতে না পারে।
3. বাড়ির জানলাতে net লাগাতে ভুলবেন না তাতেও মশার উপদ্রব কমবে অনেকটা।
4. Pesticides এবং অন্যান্য কীটনাশক ব্যবহার করবেন।
5. মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে ব্যবহার করুন odomos..
6. পরিষ্কার রাখুন বাড়ির আশেপাশের নর্দমা, জলা জায়গা।
…এগুলি তো গেল বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণ, এবার বলবো খাদ্য সংক্রান্ত কিছু কথা যেগুলি malaria-র সময় মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
আসুন দেখা যাক malaria রোগে আক্রান্ত রোগীর খাদ্যাভাস কেমন হবে।

●..প্রথমত, এই রোগে রোগীর খাদ্যে রুচি একদম কমে যায়, তাই রোগী যদি একদম-ই খেতে না পারে তাহলে প্রথমের দিকে রোগীকে সম্পূর্ণ fruit based diet দিতে হবে।
এই সময় রোগীর শরীরে protein-এর চাহিদা বেড়ে যায়।
সব ধরনের ফল যেমন : পেয়ারা, তরমুজ, আনারস, আঙ্গুর, আপেল, শশা, মুসম্বি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ফল দিতে হবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে।
fruits and vegetables body কে detox করতে সাহায্য করে।
রোজ আবার এক ফল দেওয়া যাবে না। আর রোগী যদি solid খাবার খেতে না পারে তাহলে fruit juice -ও দেওয়া যেতে পারে।
এই ধরনের diet অন্তত তিন দিন বজায় রাখতে হবে।
…এরপর ধীরে ধীরে diet -এ দুধ include করতে হবে।
দুধ protein requirements কে পূর্ণ করতে অনেক সাহায্য করবে।
সকাল – বিকেল দুবেলাই দুধ must.
…এই ধরণের diet দুদিন চলার পর diet এর মধ্যে cereals কে introduce করতে হবে অল্প অল্প করে। আর এই সময় রোগীর দরকার high carbohydrate এবং যতদূর সম্ভব রোগীকে এই সময় ভাত দিতে হবে,
কারণ রুটি সহজপাচ্য নয় তাই হজম করতে অসুবিধা হতে পারে।
কখনো খিচুড়ি-ও দেওয়া যেতে পারে।
এতে ডাল ও চালের মিশ্রণ থাকে, তাই protein ও carbohydrate দুটোর চাহিদাই মেটাবে । তারপর আস্তে আস্তে বিভিন্ন সবজি সিদ্ধ খেতে হবে ।
…এছাড়া, রোগীকে iron যুক্ত খাবার এই সময় বেশি করে দিতে হবে।
ডিমের কুসুম, মাংসের মেটে, rice flakes , পালংশাক, রাগী, বাজরা ইত্যদি রোগীর iron requirements কে পূর্ণ করতে সাহায্য করবে।

…সবথেকে গুরূত্বপূর্ণ কথা হলো জল ফুটিয়ে খেতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে fluid intake করতে হবে, যাতে dehydration না হয়।
ডাবের জলও দেওয়া যেতে পারে।

● মনে রাখতে হবে :
1 . রোগীর খাদ্যে যেন বেশি তেল বা মশলা না থাকে । খাবার যাতে fat free হয় ।
2 . আচার , ময়দার বিভিন্ন জিনিস , coffee , কড়া চা এগুলিও যেন বর্জনের তালিকায় রাখতে হবে।
…অর্থাৎ, খাবার হবে protein , carbohydrate and iron rich and minimum fat and oil থাকবে তাতে ।
একটা balanced diet হওয়া খুব গুরূত্বপূর্ণ।

এইভাবে কিছু সামান্য সতর্কতা মেনে চললেই সেরে উঠতে পারবেন malaria রোগের কবল থেকে।।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *