Home Decor

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে ঘর সাজানো

ঘরের ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে নিত্য নতুন ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করা আমার এক প্রকার শখ বলতে পারেন। ছোটবেলা থেকেই স্কুলে ‘বেস্ট ফর দ্যা ওয়েস্ট’ কম্পিটিশনে আমি বিজয়ী থাকতাম। অহংকার করে বলছি না, তবে ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে কিছু ঘর সাজানো বা প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করা সত্যি কিন্তু দক্ষতার ব্যাপার।

এবং কল্পনাশক্তির যথেষ্ট ব্যবহার করতে হয় এখানে। এমনই একটা উদাহরন নিয়ে আজকে আমি আলোচনা করছি। ছোটবেলায় লেখালেখি করার জন্য সবাই পিজবোর্ড ব্যবহার করত পরীক্ষার হলে। পরবর্তীকালে অবশ্য প্লাস্টিকের এবং স্টিলের বোর্ড বেরিয়েছিল। তবে আমাদের সময় সবগুলোই ছিল পিচবোর্ডের। এবং যথেষ্টই টেকসই।

এবার যখন বাড়ি গেলাম তখন দেখলাম মা বাইরে টেবিলটায় আমার কিছু অব্যবহারযোগ্য স্কুলের পুরনো জিনিস একত্রিত করেছে কাগজওয়ালাকে বিক্রি করবে বলে। তখনই চোখে পড়ল ওই পুরনো পরীক্ষার বোর্ডটার দিকে। মনে পড়ে গেল, তার সাথে জড়িয়ে আছে কত স্মৃতি, কত ভয়, কত উৎকণ্ঠা। কত পাওয়া না পাওয়ার গল্প। মনে হল কাগজওয়ালাকে দিয়ে দিলে ওটা খুব সহজেই হাতছাড়া করা হবে। আর মাথায় ঘুরতে শুরু করলো কি করে তাকে আটকে রাখা যায় ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে।

তবে আটকানোর পদ্ধতিতে অবশ্যই ব্যবহারযোগ্য অথবা রুচিশীল হতে হবে। না হলে আমার কথায় আমার মা পাত্তা দেবেই বা কেন। যাইহোক, অনেক চিন্তা এবং অনেক গুগোল এ ঘাটাঘাটির পর বুদ্ধিটা মাথায় এলো। আমি আমার ফেব্রিকের বাক্স রং-তুলি নিয়ে বসে পড়লাম। সাথে নিলাম অ্যাক্টিভিটি ক্লে। বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। ইন্টারনেটে একটা ডিজাইন দেখে যথেষ্ট পছন্দ হয়ে গেল। মনে হল এবার হুতুম প্যাঁচার পরিবারই বোর্ডের উপর ফুটিয়ে তুলব। তবে কাজটা সহজ মনে হয়েছিল, করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম ততটা নয়। বোর্ডটা পুরনো হয়েছিল, তাই ওটাকে রিস্ট্রাকচার করতে অনেকটা পরিশ্রম লাগল। তারপর তাতে প্রাইমারি সাদা রঙের ফেব্রিকে কোটিং দিয়ে দু’ঘণ্টার ভালো করে শুকিয়ে নিলাম।

সাদা রংটা সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ার পর কালো ফেব্রিকের কোটিং দেয়া হলো। তারপর একে একে তার মধ্যে গারো নীল এবং হালকা নীল ও মাঝখানে সাদা চাঁদের রং ফুটিয়ে তোলা হলো রাতের দৃশ্য তুলে ধরার জন্য। রং করার সময় মনে রাখতে হবে রঙ গুলো যেন একে অপরের সাথে মিশে যায়। এই রংগুলো করার সময়। তারপর শুরু হলো ক্লে-এর কাজ। ক্লে দিয়ে কাজ কিন্তু অতটা সহজ নয়। যথেষ্ট সময় নিয়ে সূক্ষ্মতা সাহায্য করতে হয়। মোটামুটি প্রাথমিক কাজটা করতে একদিন সময় লাগলো।

ও একটা কথা বলা হয়নি,ঘরের ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে নিত্য নতুন ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করা আমার এক প্রকার শখ বলতে পারেন। ছোটবেলা থেকেই স্কুলে ‘বেস্ট ফর দ্যা ওয়েস্ট’ কম্পিটিশনে আমি বিজয়ী থাকতাম। অহংকার করে বলছি না, তবে ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে কিছু ঘর সাজানো বা প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করা সত্যি কিন্তু দক্ষতার ব্যাপার। এবং কল্পনাশক্তির যথেষ্ট ব্যবহার করতে হয় এখানে। এমনই একটা উদাহরন নিয়ে আজকে আমি আলোচনা করছি। ছোটবেলায় লেখালেখি করার জন্য সবাই পিজবোর্ড ব্যবহার করত পরীক্ষার হলে। পরবর্তীকালে অবশ্য প্লাস্টিকের এবং স্টিলের বোর্ড বেরিয়েছিল।

তবে আমাদের সময় সবগুলোই ছিল পিচবোর্ডের। এবং যথেষ্টই টেকসই। এবার যখন বাড়ি গেলাম তখন দেখলাম মা বাইরে টেবিলটায় আমার কিছু অব্যবহারযোগ্য স্কুলের পুরনো জিনিস একত্রিত করেছে কাগজওয়ালাকে বিক্রি করবে বলে। তখনই চোখে পড়ল ওই পুরনো পরীক্ষার বোর্ডটার দিকে। মনে পড়ে গেল, তার সাথে জড়িয়ে আছে কত স্মৃতি, কত ভয়, কত উৎকণ্ঠা। কত পাওয়া না পাওয়ার গল্প। মনে হল কাগজওয়ালাকে দিয়ে দিলে ওটা খুব সহজেই হাতছাড়া করা হবে।

আর মাথায় ঘুরতে শুরু করলো কি করে তাকে আটকে রাখা যায় ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে। তবে আটকানোর পদ্ধতিতে অবশ্যই ব্যবহারযোগ্য অথবা রুচিশীল হতে হবে। না হলে আমার কথায় আমার মা পাত্তা দেবেই বা কেন। যাইহোক, অনেক চিন্তা এবং অনেক গুগোল এ ঘাটাঘাটির পর বুদ্ধিটা মাথায় এলো। আমি আমার ফেব্রিকের বাক্স রং-তুলি নিয়ে বসে পড়লাম। সাথে নিলাম অ্যাক্টিভিটি ক্লে। বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। ইন্টারনেটে একটা ডিজাইন দেখে যথেষ্ট পছন্দ হয়ে গেল। মনে হল এবার হুতুম প্যাঁচার পরিবারই বোর্ডের উপর ফুটিয়ে তুলব। তবে কাজটা সহজ মনে হয়েছিল, করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম ততটা নয়। বোর্ডটা পুরনো হয়েছিল, তাই ওটাকে রিস্ট্রাকচার করতে অনেকটা পরিশ্রম লাগল।

তারপর তাতে প্রাইমারি সাদা রঙের ফেব্রিকে কোটিং দিয়ে দু’ঘণ্টার ভালো করে শুকিয়ে নিলাম। সাদা রংটা সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ার পর কালো ফেব্রিকের কোটিং দেয়া হলো। তারপর একে একে তার মধ্যে গারো নীল এবং হালকা নীল ও মাঝখানে সাদা চাঁদের রং ফুটিয়ে তোলা হলো রাতের দৃশ্য তুলে ধরার জন্য। রং করার সময় মনে রাখতে হবে রঙ গুলো যেন একে অপরের সাথে মিশে যায়। এই রংগুলো করার সময়। তারপর শুরু হলো ক্লে-এর কাজ। ক্লে দিয়ে কাজ কিন্তু অতটা সহজ নয়। যথেষ্ট সময় নিয়ে সূক্ষ্মতা সাহায্য করতে হয়। মোটামুটি প্রাথমিক কাজটা করতে একদিন সময় লাগলো।

ও একটা কথা বলা হয়নি,ঘরের ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে নিত্য নতুন ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করা আমার এক প্রকার শখ বলতে পারেন। ছোটবেলা থেকেই স্কুলে ‘বেস্ট ফর দ্যা ওয়েস্ট’ কম্পিটিশনে আমি বিজয়ী থাকতাম। অহংকার করে বলছি না, তবে ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে কিছু ঘর সাজানো বা প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করা সত্যি কিন্তু দক্ষতার ব্যাপার। এবং কল্পনাশক্তির যথেষ্ট ব্যবহার করতে হয় এখানে। এমনই একটা উদাহরন নিয়ে আজকে আমি আলোচনা করছি। ছোটবেলায় লেখালেখি করার জন্য সবাই পিজবোর্ড ব্যবহার করত পরীক্ষার হলে। পরবর্তীকালে অবশ্য প্লাস্টিকের এবং স্টিলের বোর্ড বেরিয়েছিল। তবে আমাদের সময় সবগুলোই ছিল পিচবোর্ডের। এবং যথেষ্টই টেকসই।

এবার যখন বাড়ি গেলাম তখন দেখলাম মা বাইরে টেবিলটায় আমার কিছু অব্যবহারযোগ্য স্কুলের পুরনো জিনিস একত্রিত করেছে কাগজওয়ালাকে বিক্রি করবে বলে। তখনই চোখে পড়ল ওই পুরনো পরীক্ষার বোর্ডটার দিকে। মনে পড়ে গেল, তার সাথে জড়িয়ে আছে কত স্মৃতি, কত ভয়, কত উৎকণ্ঠা। কত পাওয়া না পাওয়ার গল্প। মনে হল কাগজওয়ালাকে দিয়ে দিলে ওটা খুব সহজেই হাতছাড়া করা হবে। আর মাথায় ঘুরতে শুরু করলো কি করে তাকে আটকে রাখা যায় ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে। তবে আটকানোর পদ্ধতিতে অবশ্যই ব্যবহারযোগ্য অথবা রুচিশীল হতে হবে। না হলে আমার কথায় আমার মা পাত্তা দেবেই বা কেন। যাইহোক, অনেক চিন্তা এবং অনেক গুগোল এ ঘাটাঘাটির পর বুদ্ধিটা মাথায় এলো।

আমি আমার ফেব্রিকের বাক্স রং-তুলি নিয়ে বসে পড়লাম। সাথে নিলাম অ্যাক্টিভিটি ক্লে। বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। ইন্টারনেটে একটা ডিজাইন দেখে যথেষ্ট পছন্দ হয়ে গেল। মনে হল এবার হুতুম প্যাঁচার পরিবারই বোর্ডের উপর ফুটিয়ে তুলব। তবে কাজটা সহজ মনে হয়েছিল, করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম ততটা নয়। বোর্ডটা পুরনো হয়েছিল, তাই ওটাকে রিস্ট্রাকচার করতে অনেকটা পরিশ্রম লাগল। তারপর তাতে প্রাইমারি সাদা রঙের ফেব্রিকে কোটিং দিয়ে দু’ঘণ্টার ভালো করে শুকিয়ে নিলাম।

সাদা রংটা সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ার পর কালো ফেব্রিকের কোটিং দেয়া হলো। তারপর একে একে তার মধ্যে গারো নীল এবং হালকা নীল ও মাঝখানে সাদা চাঁদের রং ফুটিয়ে তোলা হলো রাতের দৃশ্য তুলে ধরার জন্য। রং করার সময় মনে রাখতে হবে রঙ গুলো যেন একে অপরের সাথে মিশে যায়। এই রংগুলো করার সময়। তারপর শুরু হলো ক্লে-এর কাজ। ক্লে দিয়ে কাজ কিন্তু অতটা সহজ নয়। যথেষ্ট সময় নিয়ে সূক্ষ্মতা সাহায্য করতে হয়।আর কঠিন হওয়ার আরেকটা কারণ রয়েছে। তা হল ক্লে মিক্সচার সহজেই শুকিয়ে যায়।

তাই শুকিয়ে যাওয়ার আগে স্ট্রাকচারটা সঠিক ভাবে তৈরি করে, তার মধ্যে ডিজাইনটা বসানো আবশ্যক। মোটামুটি প্রাথমিক কাজটা করতে একদিন সময় লাগলো। ফিনিশিং করতে হতে আরো একদিন। তবে সম্পূর্ণ কাজটা হয়ে যাওয়ার পর দেখতে এতটাই ভালো হল যে, মা সেটাকে ড্রইংরুমে দেয়ালে লাগিয়ে দিল। আমার স্মৃতিগুলো ধরে থাকল, আবার মা’র ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি হয়ে গেল। আইডিয়াটা ভালো না?

Facebook Comments Box
Moumita Bhowal Das

Share
Published by
Moumita Bhowal Das
Tags: thingswaste

Recent Posts

Kolkata to Witness B Praak’s Mesmerizing Performance at ‘Kolkata Odyssey’ on October 20th

The vibrant city of Kolkata is set to host an extraordinary musical event as renowned Indian music…

3 months ago

Celebrating Friendship and Togetherness with Pujo Pujo Gondho

In a heartwarming ode to friendship and the unifying spirit of Pujo, SVF Brands has…

3 months ago

Frustration Turned To Calmness, Thanks To These Websites

The year 2024 has not been what I had planned so far. Everything went downhill.…

4 months ago

SVF Music Unveils April Edition of “Banglar Gaan Indies”

Following the resounding success of the inaugural edition, SVF Musicproudly announces the arrival of the…

9 months ago

Mimi Chakraborty and Nabila to Star Alongside Shakib Khan in ‘Toofan’

Amidst ongoing speculations regarding the leading lady opposite Shakib Khan in the upcoming film 'Toofan',…

10 months ago

Why Does a Rich Chicago Law Firm Keep Suing Indian Tribes?

This article originally appeared in DC Journal: https://dcjournal.com/why-does-a-rich-chicago-law-firm-keep-suing-indian-tribes/ Why does a deep-pockets Chicago law firm keep…

1 year ago