2 মিলিয়ন মানুষের পর অবশেষে লাফালাফির সাথে আলাপচারিতায় দেবদীপ

লাফালাফির সাথে আলাচারিতায় দেবদীপ মুখার্জ্জী।

সম্প্রতি রিলিজ করলো তোমার কম্পোজ করা গান “The day with you” সেইটা সম্পর্কে যদি কিছু বলো আমাদের!

এটা একটা ইন্সট্রুমেন্টাল পিস্, এইপ্রথম আমি আর অভিজিৎ একসাথে গিটার বাজিয়েছি। যারা শুনেছেন আশা করি ভালো লেগেছে।

যেই গানের জন্য দেবদীপ মুখার্জ্জীর সঙ্গে মানুষের আলাপ হয়েছে, সেই ‘হয়নি আলাপ’ আজ ইউটিউবে ২ মিলিয়ন ভিউজ ছাড়িয়ে গেছে। তারজন‍্য অনেক অভিনন্দন, এইগানের পরের গল্পগুলো তো আমরা মোটামুটি জানি, কিন্তু এই গানটি তৈরির সময়ের গল্পটা যদি আমাদের সাথে ভাগ করে নাও।

গানটা তৈরির আর দশটা গানের মতোই আমার যেটা হয়, প্রথমত বুঝতে পারিনি যে গান কীভাবে তৈরি করি! প্রত্যেকবার মনে করে রাখার চেষ্টা করি যে এই এই ভাবনা গুলো ভেবেছিলাম, সেই জন্যই ওই গানটা লিখতে পেরেছিলাম এভাবেই ভাবার চেষ্টা করি; কিন্তু কোনোবারই সেই প্রসেসটা মেলে না। কোনো সময় একদিন লিখতে বসেই হয়ে যায়, আবার কখনও দু’দিন তিনদিন লেখার পরও এডিট করতে হয়। সো ‘হয়নি আলাপ’টা লেখা হয়েছিল এমন একটা সময়, যেসময় চাকরিটা সবে ছেড়েছি। সে সময় ভাবছিলাম যে, নাঃ! এবার গান বাজনা নিয়েই থাকবো অন‍্য কিছু আর করবনা। তো ‘হয়নি আলাপ’ সেই সময়ের একটা লেখা গান। আর ‘হয়নি আলাপ ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ এর মতন একটা গান। যার জন্য এরপর এটা নিয়ে অনেক গল্প তৈরি হয়েছে, অনেক মানুষ পছন্দ করেছেন। এটাকে একটা প্রেমের গান হিসাবে পোট্রেট করা হয়েছে।

তুমি শেষ প্রশ্নের উত্তরে বললে যে চাকরিটা তখন সবে ছেড়েছো, তো চাকরি করবেনা গান বাজনা নিয়েই এগোবে এটা কবে ঠিক করলে?

গান বাজনাটা নিয়েই এগোবো এটা ভেবেছিলাম ২০০৫ সাল থেকেই। তার কারন হচ্ছে সেই সময় আমার টুইলভের ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল আর তখনই শিলাজিৎদার কাছ থেকে একটা অফার পেয়েছিলাম। শিলাজিৎ দা একটা কোরাস টিম তৈরি করার চেষ্টা করছিল, একটা শো এর জন্য। তো যেদিন শো ছিল তারপরের দিন আমার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু। সেটা নিয়েই একটু ভয়ে ভয়ে ছিলাম। মা জানতো, বাবাকে লুকিয়েই কাজটা অ‍্যাকসেপ্ট করেছিলাম। বাবাকে ঠিক শো- এর আগেরদিন রাতে খুব কাঁদো কাঁদো গলায় জানানো হয় যে, এই শো টাতে আমি প‍ারফর্ম করছি বাবা। পড়াশোনার ছাড়া আমি এটাও করতে চাই। বাবা মা দুজনেই প্রথম দিকে একটু না না করতো, কারন তারা ভয় পেত যে ছেলে এরকম গান বাজনা করতে চাইছে, একমাত্র ছেলে! তাই তারা একটু হকচকিয়ে গেছিল। তারপরে দেখলাম যে ওটা ভালোবাসছি করতে।
এবার ফাইনাল পরীক্ষা টা দিতে গিয়ে বুঝলাম যে আমি বিরাট একটা রিস্ক নিয়ে ফেলেছি! চিন্তা করে দেখলাম যে এভাবে পড়াশোনা করে এগোনোর কোনো মানে হয়না, বেটার যে আমি মিউজিক নিয়ে পড়াশোনা করি।

গান নিয়ে যে পড়াশোনা করার প্রয়োজন, এটা হঠাৎ কেন মনে হলো?

তখন প্রপারলি আমি কোনো মিউজিক্যাল নোট চিনতে পারতাম না কারন আমার প্রথাগত শিক্ষাটা ছিল না। তো সেই সময়ই ঠিক হলো, আমি একটা মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট বাজানো শিখব, তো তারপর রবীন্দ্রভারতীতে সরদ নিয়ে ভর্তি হলাম। সরদ একটা হার্ড ইন্সট্রুমেন্ট, চট্ করে কেউ বাজায় না, তাই সরদ শিখব বলে ঠিক করেছিলাম।

রবীন্দ্রভারতীতে পড়াশোনা করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

আমার জীবনের পাঁচটা বছর রবীন্দ্রভারতীতে কাটে। ওই সময়টা আমার জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সময় ছিল। তখন থেকেই বেশ কয়েকটা গান লেখা হয়ে গিয়েছিল। স্বপ্ন রঙের মেয়েটা গোটা অ‍্যালবামটা সেই সময় লেখা হয়ে গিয়েছিল। সবমিলিয়ে ওই পাচঁটা বছর আমাকে একজন মিউজিসিয়ান হিসাবে অনেকটা উন্নত করেছিল।

গান লিখেছিলে, সরদ শিখছিলে, সেটা তো আমরা জানলাম, কিন্তু গান যে গাইবে এটা কি তখন ভেবেছিলে?

নাঃ! গানটা যে গাইব এটা তখন ঠিক করে উঠতে পারিনি। কারন তার আগে পর্যন্ত অনেকে গান চেয়েছে, কিন্তু পুরো পারিশ্রমিকটা কখনই দেননি আমাকে, আর যে আরেঞ্জমেন্টটা তারা করছিল সেটাও প্রপার নয়, আর আমি তাদের বোঝাতে পারছিলাম না যে, তোমরা হয়ত পপুলারিটির জন্য কাজ করছো কিন্তু মিউজিকের জায়গা থেকে তুমি যে মিউজিক্যাল অরিয়েন্ট টা এই লিরিক্স টা এই মিউজিক্যাল ফিলোজফি টার সাথে মানাচ্ছে না। আর একটা ঘটনা বলি, একদিন আমি আমার তদকালীন গুরুজীর বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানে গুরুজীর মেয়ে আমাকে একটা গান শোনাতে বলে, সেইসময় আমার ‘তুমি কি’ গানটা লেখা হয়ে গিয়েছিল, আমি ওকে ওটাই শোনাই। তখন ও আমাকে বলে তুমি অমুক দাদা টাকে চেনো! এটা তো ওর গাওয়া। আমি বলি অ‍্যাঃ! তো তারপর আমি ভাবি যে যেহেতু গানের প্রতি আমার একটা দায়বদ্ধতা আছে তো এটার দায় তো অন্য কেউ নেবে না! এটাকে আমাকেই সন্তানের মত লালন পালন করতে হবে। তারপর যথারীতি হল যে আমি খুব লাকিলি আমার এম এ পরীক্ষার শেষেই একটা মিউজিক চ্যানেলে চাকরি পেয়ে যাই। পরবর্তীকালে সেখানে আমি ক্রিয়েটিভ প্রডিউসার হিসেবেও কাজ করেছি। তো তারপর অল্প অল্প বয়সে পয়সা জমাতে শুরু করি যে নিজের একটা অ্যালবাম বের করব এবার! ২০১১, ২০১২, ২০১৩ পর্যন্ত কাজ চলেছিল আমার প্রথম অ‍্যালবাম ‘স্বপ্ন রঙের মেয়েটা’।

‘স্বপ্ন রঙের মেয়েটা’ তো তোমার প্রথম আত্মপ্রকাশ বলা যেতে পারে, তো সে কাজটা করার সময় কি কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল?

‘স্বপ্ন রঙের মেয়েটা’ অ‍্যালবামের ‘স্বপ্ন রঙের মেয়েটা’ সিঙ্গেল গানটা অক্টোবর মাস নাগাদ রিলিজ করা হয় কারণ পুরো অ্যালবামটা কোনও কোম্পানি তখন নিতে চাইছিল না। আমি চেয়েছিলাম এই অ্যালবামটাকে পুজোর গান হিসাবে রিলিজ করতে, তো একটা কোম্পানিকে আমি আমার ক্যাসেটটা দিয়ে বলেছিলাম যে এইটা পুজোর সময় রিলিজ করতে চাই। তারা বললো যে দেখছি, সেটা দেওয়ার ৬ মাস বাদে, আমি তাদের সাথে আবার যোগাযোগ করি অ্যালবামটার ব্যাপারে! তারা বলল যে তোমার কপিটা হারিয়ে গেছে তো আমি বললাম দেখুন দাদা! আমার কাছে আরেকটা কপি আছে আমি সেটা আপনাদের দিয়ে আসছি আপনারা প্লিজ এটা পুজোর আগে রিলিজ করুন। তারপর পুজোর প্রায় ১৫ দিন মতো বাকি ছিল, আমি আবার ফোন করলাম যে দাদা আমার অ‍্যালবামটা কবে রিলিজ করছেন? ওখান থেকে বলল যে তোমার কপিটা না আবার হারিয়ে গেছে! তখন আমি বাধ্য হয়ে বলেছিলাম যে, দাদা ওটা আমার জমানো পয়সা খরচা করে বানানো আর আপনাদের এই রকম উদাসীন আচরণ‌ সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই! আপনি প্লিজ ক‍্যাসেটটা বার করে রাখুন, আমি এক্ষুনি গিয়ে নিয়ে আসছি। আমার এখনো মনে আছে সেপ্টেম্বর মাস, ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ছে আমি ক‍্যাসেটটা আনতে গিয়েছিলাম। তারপর আমি নিজে ঐ গান গুলোকে একটা নতুন সিডিতে ট্রান্সফার করে 9th Oct, 2013 এ রিলিজ করেছিলাম ঐ একটা গান। পরবর্তীকালে সিলভার মিউজিক বলে একটা কোম্পানি খুব কম টাকায় অ‍্যালবামটা রিলিজ করেছিল।

মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি একজন প্লে ব‍্যাক সিংগার হিসাবে ছবিতে প্রথম কাজ। তো এই কাজটার সুযোগ কীভাবে এসেছিল?

এই অফারটা, হয়নি আলাপের পর তো মোটামুটি মানুষ জন আমাকে চিনতে শুরু করেন। তো তখন শিলুদা (শিলাজিৎ মজুমদার) ডিসাইড করেন যে আমার বিয়ের দিন এটা আমাকে গিফট্ হিসাবে দেওয়া হবে। আমার বিয়ে হয় ১০ই জুলাই, সেখানেই শিলুদা সবার সামনে এটা অ‍্যানাউন্স করেন। দারুন একটা এক্সপেরিয়েন্স! শিলুদার সাথে ৩ মাস ৪ মাস রোজ দেখা হয়েছে, রোজ কিছুনা কিছু হয়েছে। খুব কাছ থেকে জানলাম যে শিলুদা এই প্রসেসটাতে গান বাঁধে, আর যেটা একটা ভীষন ন‍্যাচরাল ফুল ফোটার মতো প্রসেস। শিলুদা যেমন যেমন বলেছেন করেছি, আমি তো শুধু অ‍্যাসিস্ট করেছি। সবাই নিজের বেস্টটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বাকিটা তো দর্শকদের হাতে থাকে।

ইতিমধ্যে থিয়েটারে মিউজিকেও ডিরেকশনের কাজ করে‍ ফেলেছেন। তো ফিল্ম এবং থিয়েটার দুটোর মিউজিকে মধ্যে কি কোনো পার্থক্য আছে? আর ‘ক‍্যাপটেন হুররা’-য় প্রথম মিউজিক ডিরেকশনের অভিজ্ঞতা কেমন?

অবশ্যই আছে! থিয়েটারে সবসময় চেষ্টা করা হয় বেশিরভাগ জিনিসটা লাইভ করার। তবে এক্ষেত্রে সেটা করা হয়নি, এক্ষেত্রে আমরা প্রি-রেকর্ডিং, রেকডিং স্টুডিও তে গিয়ে রেকর্ড করে সেটা ডেলিভার করার চেষ্টা করেছি।
‘ক‍্যাপটেন হুররা’ নাটকটা ইটসেল্ফ দারুন একটা নাটক, এবার সেখানে সৌরভ পালধী মনে করেছে যে আমি এই কাজটা করতে পারবো, এটা একটা বিরাট পাওনা আমার কাছে! সেখানে তুন্নাদি, কৃষ্ণেন্দু আমাকে আসিস্ট করেছে, শান্তনু সাউন্ড অপারেট করেছে- ওদের গোটা টিমটাই জাস্ট দারুন! কারন ওরা যদি এই প‍্যারফমেন্স টা না করত তাহলে এই মিউজিক টা করে কোনো লাভ হত না। প্রথম যেদিন শো হয় জয় গোস্বামী, আমার পাশে রনিদা (রজতাভ দত্ত) বসেছিল।আমার বুকের ভিতর পুরো হিম হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়, প্রথম শো-টা তো পুরো ঝকঝক করছিল। দ্বিতীয় শোয়ের দিনও রনি দা কে আবার দেখে আমার বিশাল আনন্দ হয়। এটা একটা আলাদাই পাওনা।

এবার একটু কাজের কথা ছেড়ে কাজের বাইরে জগৎটায় আসা যাক। দেবদীপ মুখার্জি মানেই একগাল দাড়ি, তার নীচে আবার দুটো স্প্রিং-এর মতো কি সব, ‘Kabhi haveli pe Aao’ টি-শার্ট পড়ে , হাসিমুখে কথা বলে, এটাই কী আপনি? আমরা যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করি নিজেকে ইনট্রোডিউস করতে তাহলে আপনি কী বলবেন?

এইটা একটা কঠিন প্রশ্ন হয়ে গেল, এতক্ষন তো ঠিকঠাকই চলছিল। ( হাল্কা হেসে) দ‍্যাখ্! কেউ কী নিজে বলবে আমি খারাপ? একাও থাকি, হই হট্টোগোল করতেও পছন্দ করি সবরকম মিলিয়ে মিশিয়ে, আর কাজের বাইরের আমিটাও না ভীষনভাবে কাজ ভালোবাসি, সবসময় কিছু না কিছু শিখতে চেষ্টা করি।
আর লুকটার কথা বলতে গেলে প্রথমত, এটা করতাম একটা কারন হলো অনেকে আমাকে বলতো তোকে না ওর মত দেখতে, তার মতো দেখতে, এই কারনে আমি সবসময় আমার লুকটাকে চেঞ্জ করতাম। এটা করতে করতে আমার অভ্যেস হয়ে গেল। আয়নার সামনে দাঁড়াচ্ছি, আজকে একরকম, কালকে আরেক রকম, এটা এখন আমার হেব্বি মজা লাগে। আর তুই যদি স্টাইল, লুক যাই বলিসনা কেন ওটা সেই মূহুর্তের, আমি যতক্ষন এনজয় করছি। এরকমও হয়েছে আমি খুব স্টাইল ফাইল করে হঠাৎ করে আবার পুরোটা ন‍্যাড়া হয়ে গেলাম। এবার লোকজন দেখে তো চমকে যায়! এখন যেটা হয় দাড়ি থাকার জন্য, ধর বাইকটা নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি কেউ তাঁর বন্ধু বা বান্ধবীর সাথে রাস্তা পার হতে গিয়ে আমার দাঁড়িটা দেখে কীরকম একটা ব্ল্যাঙ্ক লুক দিয়ে তাকিয়ে থাকে, আমি জন্তুটা কী আসলে কী! হোমো সেপিয়েন্স না অন্য কিছু তারা বুঝতেই পারেনা!

তোমার গলা ছাড়াও, তোমার গানের লিরিক্স এবং সুর দুটোই ভীষনভাবে ইনোভেটিভ হয়। একটা বেশ সদ‍্য হওয়া প্রেমের মতন সতেজতা, মন ভালো করে দেওয়া ব‍্যাপার থাকে। গান লেখার জন্য প্রেমে থাকাটা কতটা জরুরী?

একটা গান লেখার জন্য প্রেম বা অপ্রেম যেকোনো একটা ফিলিংসই খুব জরুরি কিন্তু একই সঙ্গে নিজেকে ভালো রাখাটা খুব প্রয়োজনীয়। আমি যদি ভালোই না থাকি, তাহলে আমি মনে করি আমি একটা ভালো গান কখনোই লিখতে পারবনা। আমার মনটা মাথাটা শরীরটা প্রপার থাকতে হবে, আমার প্রপার ঘুম হতে হবে, আমার প্রপার খাওয়া-দাওয়া হতে হবে,আমার প্রপার মেন্টাল সেন্সে থাকতে হবে। এবার সেখান থেকে আমার যাবতীয় চোখে দেখা ঘটনা, জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা সমস্ত থেকে— কখনো খুব রাগ হয়েছে, কখনো হয়তো খুব কেঁদেছি, কখনো হয়তো খুব আনন্দ হয়েছে কখনো হয়তো দৌড়োতে ইচ্ছে করেছে , কখনও বৃষ্টিতে ভিজেছি। আবার এই প্রত‍্যেকটা ঘটনার মধ্যে প্রত‍্যেকটা দুঃখ কিন্তু একরকমের নয়, আবার অনেক সময় দেখবি আমাদের মন থেকে একটা কান্না পায়, সে কান্নাটা কিন্তু কোন একটা জিনিস কে নিয়ে না, আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক জিনিস জমে জমে সেই কান্নাটা বেরোয়। এবার আমরা যখন গান লিখি, এই সমস্ত জিনিস সম্পর্কে সজাগ থাকাটা খুব জরুরী।

এবার তোমার গানের শ্রোতা বন্ধু অর্থাৎ, তোমার ফ্যানেদের উদ্দেশ্য কি বলতে চাও?

যারা গান করবে বা যাই করছো জীবনে সেটা আনন্দ করে, মজা করে করো। ধরো, কেউ ফিজিক্স অনার্স নিয়ে পড়ছো, সো সেটাকে নিজের প্রেমিক বা প্রেমিকার মতন করে ভালোবেসে পড়ো। তাহলে পরবর্তী সময়ে সেই ভালোবাসাটাকেও তুমি কিছু দিতে পারবে। আর যেটা ভালো লাগে না, সেটা জোর করে কিন্তু বেশিদিন করা যায় না। এতদিন সবাই বলছিল বাংলা গান হচ্ছে না, হচ্ছে না! এখন তো হচ্ছে! কী করে হচ্ছে? তার কারন হচ্ছে আমি অ‍্যাকচুয়ালি করতে চাইছি এই আনন্দটা! এবং আমি হয়তো শুধু এই আনন্দটুকুই করতে চেয়েছি এবং আমি এটা বুক ঠুকে বলতে পারছি যে আমি এই শব্দ গুলোই বিশ্বাস করে নিজের জীবনে উচ্চারণ করতে চাই তার জন্য আমি চাইছি তুমি ও আমার সাথে এসো এই গানটা করো। তাহলে আমার যে আনন্দটা হয়েছে, সেটা হয়তো তোমার ও হবে।

আমাদের লাফালাফির উদ্দেশ্য কী বলতে চাও?

এটাই বলবো যে, লাফালাফি এরকমই লাফালাফি করতে থাকুক, আগামী দিনে প্রচুর মানুষকে এভাবেই আনন্দ দিক। মিউজিশিয়ানদের, বিভিন্ন আর্টিস্টদের অথবা এডুকেশন, স্পোর্টস, একটা ভাল রান্না করলো সেটাকেও তুলে ধরা দরকার সেটাও একটা ফর্ম অফ আর্ট সেগুলোকেও সোকেস করা দরকার, লাফালাফি খুব ভালোভাবে এই সমস্ত কাজ গুলো করছে। আগামী দিনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা এবং প্রত্যেক সদস্যকে অনেক অভিনন্দন। লাফালাফি এভাবেই হইহই করুক।

: Priti Saha

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *