পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই একঝুড়ি খুশি আছড়ে পড়েছে বাংলা ও বাঙালির ঘরে ঘরে। দাদার দাদাগিরি থেকে শুরু করকরে নোবেল জয় অবধি পৌছেছে খুশির জোয়ার।
অক্টোবর বাংলা ও বাঙালির বুকফোলা গর্বের।
২০১৯ এ অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জী। অভিজিৎ ব্যানার্জী এম আই টি’র একজন প্রফেসর এবং তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি জে এন ইউ থেকে এম.এ. করেছেন এবং হাভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে গবেষণা করেছেন।
জে এন ইউ তে তিনি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমনকি প্রতিবাদের কারণে জেলেও থেকেছেন। তিনি এনওয়াইএকে ডিজাইনের জন্য তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে কংগ্রেস দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছিলেন। দিল্লি সরকারের এডুকেশন মডেলও এই বিখ্যাত বাঙালি অভিজিৎ ব্যানার্জীর। গরিবী দূরীকরণের থিওরির জন্য ২০১৯ এ নোবেল পেয়েছেন সারা বাংলা তথা ভারতবর্ষের গর্ব ।
যদিও অভিজিৎ ব্যানার্জীকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় কম হয়নি এই কদিনে। বাংলা ও বাঙালির এই সোনার সন্তান প্রবাসী বলে অনেক রাজনৈতিক মহল থেকে তাঁর দেশপ্রেম সম্বন্ধে উঠে এসেছে নানান কদ্ভুত প্রশ্ন। এটা অবশ্য প্রথম না, এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনও। তবে এই সমস্ত কিছু ছাড়লে তিনি অবশ্যই বাংলা , বাঙালি তথা সমস্ত ভারতবাসীর গর্ব।
অন্যদিকে বিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্রিকেট জগতে নতুন ইনিংস শুরু করলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। ২২ গজে তাঁর দাদাগিরি দেখেছে আপামর ভারতবাসী। এবার বিসিসিআই এর বস হিসেবে দাদাগিরি করবেন বাংলা ও বাঙালি।
সৌরভ গাঙ্গুলি ২৩ শে অক্টোবরে বিসিসিআইয়ের সভাপতির দায়িত্ব নেবেন, এবং জয় শাহ সেক্রেটারির পদ পাবেন এবং অরুণ ধুমাল কোষাধ্যক্ষ হবেন। দাদার ক্ষেত্রে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট বেশি প্রাধান্য পাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আনুরাগ ঠাকুর, যিনি বর্তমানে অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, তিনি বিসিসিআই-তে সৌরভ গাঙ্গুলির শীর্ষস্থানীয় পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছেন বলে জানা গেছে। তবে বিসিসিআই এর পদ নেওয়ার আগে সিএবির প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে হবে তাঁকে। সিএবির প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব নেবেন অভিষেক ডালমিয়া।
দাদার দাদাগিরি আমরা দেখেছি দেশেবিদেশে। একসময় বাংলার এই মানুষটার ওপর ন্যায় বিচার করেনি বিসিসিআই। এখন এই বিসিসিআই এর ওপর নিজের দাদাগিরি দেখাবেন স্বয়ং দাদা। ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় এই বাঙালির ওপর ভরসা করে আছেন অনেকেই।
দাদাগিরি থেকে নোবেল জয় বাঙালি হার মানিয়েছে সকলকে। পূজোর মরসুমে বাংলা ও বাঙালির বুক চওড়া করেছে দুই বাঙালি।