অর্ণব রিঙ্গো ব্যানার্জির পরিচালনা ও ঐন্দ্রিলা ব্যানার্জির প্রযোজনায় ক্লিক OTT platform এর আগামী ওয়েব সিরিজ এর প্রথম ঝলক।
২০১৭ সালে উত্তর ভারতে ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরী একটি সিরিজ। একটি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ এলাকার সংলগ্ন ছোট্ট গ্রামে, লাগাতার ভয়াবহ কেলেঙ্কারি ঘটে চলেছিল। প্রায়শই বাঘের হাতে নৃশংস মৃত্যু হতে থাকে বিভিন্ন গ্রামবাসীর। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে লুকিয়ে ছিলো এক ভয়ানক ও মারাত্মক পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার সত্য যাচাই করতে একজন সাংবাদিক, সিদ্ধার্থ, কলকাতা থেকে ছবি তুলতে উৎসাহী এক ব্যাক্তির ছদ্মবেশে ওই গ্রামে যান। এবং ঘটনাচক্রে, তিনি সেই গ্রামের দুষ্কৃতীদের হাতে ধরা পড়েন। জঙ্গলের এই গা ছমছমে সত্যের অনুসন্ধানের অ্যাডভেঞ্চারে, তার দেখা হয় বিদিতা নামের গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাথে যুক্ত এক মহিলা ডাক্তারের সাথে। তিনিও রহস্যময় ভাবে জড়িয়ে পড়ে এই দুর্বিসহ অভিসারে। আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকে মর্মান্তিক মৃত্যুর ইশারা। পলাতক ও শিকারীর জীবন মরণ ধাবনে পরতে পরতে জুড়ে থাকে দুর্ধর্ষ, সত্যিকারের কঠিন অ্যাক্শন ও গভীর জঙ্গল ও জঙ্গলী নদীর মাঝে রোমাঞ্চকর ঘটনাবলী। দলবদ্ধ হয়েও মৃত্যুর অনিবার্য হাতছানি থেকে কী তারা বাঁচতে পারবে? পারবে কী এই দুর্গম গ্রামের বীভৎস নরখাদক রহস্য ফাঁস করতে?
উত্তর জানতে হলে দেখতে হবে অর্ণব রিঙ্গো ব্যানার্জি পরিচালিত “পিলকুঞ্জ” ।
আগামী মাসে Klikk OTT প্ল্যাটফর্মে.
কলা কুশলী
| অভিনয়ে |
সিদ্ধার্থ – শন ব্যানার্জী
বিদিতা – তৃণা সাহা
রামবাবু – শঙ্কর দেবনাথ
শৈলেশ – জোয়ী দেবরায়
সতিন্দর বুল্টি – দেবতনু
ঝর্ণা – বৃষ্টি রায়
গুল্লা – সোহম গুহা পত্তাদার
ডাঃ বীরবাহাদুর – প্রতীক রায়
জগমোহন – সৌরভ সাহা
কেশব – পালওয়াল চক্রবর্তী
মোহন্তি – গৌতম মৃদ্ধা
প্রযোজক – ঐন্দ্রিলা ব্যানার্জী
পরিচালনা, চিত্রনাট্য, সিনেমাটোগ্রাফী, সম্পাদনা ও নেপথ্য সঙ্গীত – অর্ণব রিঙ্গো ব্যানার্জী
সাউন্ড ডিজাইন ও শব্দ বিন্যাস – তীর্থঙ্কর মজুমদার
ভিসুয়াল এফেক্স – রজত দলুই
“পিলকুঞ্জ”, প্রজেক্ট ‘টাইগার’- এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি। ২০১৭ সালে উত্তর ভারতে, একটি সংরক্ষিত ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যে এক ভয়াবহ কেলেঙ্কারীর উদয় হয়। যা দেশের শীর্ষস্থানীয় পদাধিকারীদের পর্যন্ত নাড়া দিয়েছিল। এবং রহস্যজনক ভাবে দেখা গেছিলো, যারা নিজেদের স্বেচ্ছায় অমন ভয়ংকর মৃত্যুবরণ করেছিলেন, তাঁরা শুধুমাত্র ক্ষতিপূরণের টাকার জন্যে এই আত্মত্যাগ করেছিলেন।
সঠিক কোনো তথ্য উন্মোচিত না হওয়া পর্যন্ত…
স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা চক্রের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক স্তরে বাঘের নৃশংস মানুষখেকো আচরণকেই দোষারোপ করা হয়েছিলো। কড়া সরকারি পদক্ষেপের পরবর্তীকালে এই ঘৃণ্য কেলেঙ্কারীটি বন্ধ হয়। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে বলিদানের এই রক্ত হিম করা তথ্যগুলি এখনও সেই এলাকার স্মৃতিতে তাজা। আজও স্মৃতিরোমন্থন করে শিউরে ওঠেন, যারা উত্তর ভারতের গ্রামে সেই ভয়াবহ ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। এই সবের প্রেক্ষিতে আমি সিদ্ধান্ত নিই এমন ভয়াবহ ঘটনার ওপর চিত্রনাট্য তৈরি করার। আমার এই অভিলাষা কে রূপায়ণ করতে প্রচুর সাহায্য করেছেন KLiKK পরিবারের সবাই। তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ওনাদের সাথে এটি আমার দ্বিতীয় সিরিজ এর প্রয়াস। একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে এটি আমার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতাগুলির মধ্যে একটি।