আরও একটা বসন্ত পঞ্চমী এসে গেল দেখতে দেখতে,
সে যতই ভ্যালেন্টাইন ডে হোক না কেন
এ-দিনের কথাই কিন্তু আলাদা।
কত প্রেমের শুরু ও শেষের সাক্ষী এই বসন্ত পঞ্চমী।
প্রেম অপ্রেম যাই হোক, নীল-হলুদ শাড়ি-পাঞ্জাবিতে সাজবে গোটা শহর।
তাই আরও একবার অপ্রেমিকা শাড়িতে সাজবে,
নাহ! নীল বা হলুদ নয় লাল-কালো শাড়িতে।
কপালের মাঝে টিপ আঁকবে,ছোট টিপ,
প্রেমিকের তো ছোট টিপই পছন্দ ছিল।
চোখের কাজলটা বেশী গাঢ় না,
আর চুলটা খোলা, একটু এলোমেলো
ঠিক প্রথমবারের মতো।
স্পষ্ট মনে আছে, প্রেমিক কিন্তু রেগে ছিল সেদিন
তার যেতে দেরী হয়েছিল বলে।
তবে শাড়িতে অনভ্যস্ত প্রেমিকাকে এলোমেলো চুল
ঠিক করতে করতে সাফাই দিতে শুনে হেসে ফেলেছিল।
রাগ টাগ একেবারে কর্পূরের মতো উধাও!
তবে প্রেমিকা থেকে অপ্রেমিকার তকমাটা
অনেকদিনই হল লেগেছে,
এখন ওসব ছেলেমানুষী অতীত।
কঠিন হওয়ার অভিনয়টা ভালই রপ্ত হয়েছে।
হয়তো আরও একবার দেখা হবে দুজনের,
চোখে চোখ পড়বে,
মুর্হুতের মধ্যে মাথার ভেতর হাজারও ফ্ল্যাশব্যাক,
অপ্রেমিকার চোখ প্রেমিককে পচ্ছন্দের সেই
কালো পাঞ্জাবিটায় দেখার মুগ্ধতায় ভরবে,
প্রেমিকের চোখ তার প্রাক্তনের চোখে
কাজলের গাঢ়ত্ব মাপার চেষ্টা করবে।
খুব ইচ্ছে করবে আরও একটা বসন্ত পঞ্চমীর দুপুর
একসাথে,কাঁধে মাথা রেখে কাটাবার,
তারপর….
তারপর আর কী?
খুব করে নিজেদের সংযত করে
মুখে বিন্দুমাএ অনুভূতির ছাপ পড়তে না দিয়ে,
যে যার মতো ব্যস্ততার অভিনয় করে
এগিয়ে যাবে নিজের নিজের পথে।
চারিদিক যখন নীল-হলুদ প্রেমে মত্ত,
তখন এদিকে লাল-কালো ফ্যাকাশে অপ্রেমের
আরও একটা বসন্ত পঞ্চমী মিলিয়ে যাবে…