কিছু কথা ছিল।
কিছু কথা ছিল জানার
কিছু কথা ছিল কৌতূহলতার।
খুব সাধারন হলেও হতে পারে,
কিন্তু সেই দংশনটাকে কি করে আটকাব?
যা নিয়মিত তার দাঁতের দাগ বসিয়ে যাচ্ছে
মনের ভেতরে।।
রক্ত বেরোচ্ছে ভেতরে,
কিন্তু ওটা জমবেনা।
কারন অজানা কথাগুলো যে আছে বাকি।
জিগ্যাসা করলে পারবি বলতে?
পারবি প্রশ্নগুলো করার পর আমার দিকে তাকাতে?
কারন আমি পারবনা।
কারন প্রশ্নগুলোর আগাছা তে আমি নিজেই জড়িয়ে পড়েছি।
নিজেই মেখে নিয়েছি মাটির ধুলো।
তাই নিজেকে পরিস্কার করতেই তোকে নোংরা করতে চাইছি।
স্পর্শের কাতরতায় নয়,
প্রশ্নের কামড়ে।
তাই বলছি , কিছু কথা ছিল।
পারবি তোর পুরনো স্মৃতি মুছে আমার কাছে আসতে?
কেমন বোকা প্রশ্ন হয়ে গেল না!
ভাবছিস, “পুরনো স্মৃতি মোছার জন্যই তো তোর কাছে আসা”,
আমি জানি।
কারন আমিও তোর পথেরই সঙ্গি।
ওই পথে তুই একা হাঁটছিসনা
হাটছি আমিও
ভাঙছি আমিও।
শুধু আমার দিক আলাদা আর তোর দিক আলাদা,
তাই হচ্ছিনা সম্মুখীন।
এতদিন পুরনো স্মৃতি কে জাঁকড়ে বাঁচছিলাম,
কারন কাড়ানোর মত কেউ ছিলনা।
বলবনা কাউকে কাড়াতে দিইনি,
কিন্তু কেউ করেনি চেস্টা।
তাই তো ভেবেই কাটাতাম দিন
একাকিত্বকে ভাঙ্গার চেষ্টা করতাম।
তখন মাথায় অনেকে থাকত
কিন্তু মনে কেউ ছিলনা।
রাতে পাশবালিশের মতন জড়িয়ে শুতাম স্মৃতিগুলোকে।
তুই এলি,
যেন সেই পাশবালিশটা কেউ কেড়ে নিল।
কিন্তু আমি এতে খুশি
কারন, আমি সহজেই সব মুছে ফেলেছি।
তাই বলছি,
পারবি তুই?
আমার মনে হয়না তোর মোছা উচিত।
কারন, মুছতে গেলে আবার মনে করতে হবে।
যেমন আছে তেমন থাক
একদিন সব হয়ে যাবে রাখ,
তাতে বাঁচার একটা তাগিদ তো থাকবে।
কিন্তু জ্বলব দুজনেই।
তখন হয়ত তুই কাছে এসে বলবি আমায়-
“হ্যাঁ আমারও কিছু কথা ছিল”