জীবনে শূন্যতায় কি পূর্ণতা রূপে আমাদের কাছে ফিরে আসে? আসলে কিছু সংযোগ আমাদের জীবনে কখনো বিড়ম্বনা বা পূর্ণতায় পৌঁছে দেয়। জীবনে উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচিত হওয়া মানুষগুলো কখন যে ভালো থাকার কারণ হয়ে ওঠে?―আমাদের বোঝার আগেই।
জীবনে কিছু কিছু মানুষের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয় অত্যন্ত তুচ্ছ কারণে কিন্তু আমাদের মনে এমন অস্তিত্বের অনুরণন তৈরী করে যায়, চাইলেও সেটা মুছে ফেলতে পারি না। ভালোবাসা কিনা জানিনা, তবে ভালো রাখার একটা তাগিদ অনুভব করি। জীবনের একটা অংশ হিসেবে ভাবতে শুরু করি।
এই মানুষগুলোর সঙ্গে খুব সহজেই মিশে যেতে পারি। দিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভীষণ রকম মিশে থাকি। জীবনের সবকিছুই বিলিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ও মাঝে মাঝে হয় কিন্তু সাধ্য নেই।
হঠাৎ করে যার উপর রাগ করা যায়… কিংবা অভিমান ভাঙানোর আশায় ইচ্ছে করে অভিমান করা যায়।
যার চোখের দিকে তাকালে অনায়াসে মিথ্যা বলা যায় না। সব সমস্যা নির্দ্বিধায় বলে জমানো ব্যথা হালকা করা যায়। যাকে জীবনের একজন অপরিহার্য মানুষ হিসেবে বিবেচিত করা যায়।
যার সাথে দেখা হলে এক মুহূর্তের জন্য ক্লান্তিকর পরিবেশ ভুলে কোন এক মনোরম পরিবেশে ফিরে যাওয়া যায় । একটা গোটা দিনের ভালোলাগা রাত পেরিয়ে ভোর করে দেয়।
এরকম একটা মানুষ আমাদের সবার জীবনে আসে।
নাহ্! এরা থাকতে আসে না!
ভীষণ উৎসাহ দেওয়া এই মানুষটির সঙ্গে প্রেম হয়, অভিমান হয়, মনকেমনও করে ওঠে কিন্তু একসাথে থাকা হয়না। জীবনের খুব অল্প সময়ে এদের সাহচর্য পেয়ে থাকি।
এদের সঙ্গ লাভ হয় না, এমনকি সংসারও হয় না!
শুধু সংসার নয় জীবনের ভালো থাকার মুহুর্তের অংশীদার ও করা হয়ে ওঠে না!
জীবনের পূর্ণতা কখনো কখনো থেমে যাওয়া শূন্যতার নিদর্শন হিসেবে আমাদের জীবনে থেকে যায়। আসলে মনের সঙ্গে পরিবেশ পরিস্থিতির দ্বন্দ্ব বোধহয় আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।
এমন আদুরে প্রেম মাখানো অভ্যাসে যার সাথে অভ্যস্থ হয়ে যাওয়া যায় ঠিক এরকম একটা মানুষ প্রায় প্রত্যেকের জীবনে আসে।
একবার হলেও ওরা আসে।
এরকম একটা মানুষ কম বেশি আসে সবারই জীবনে।