আজ শেষ বারের মতো শহর ছাড়ার আগে,
পুরোনো আলমারিটা গোছাতে গিয়ে হঠাৎ করে পাওয়া
একটা ডায়েরী,আমার মেয়েবেলা!
যার বেশ কিছুটা জুড়ে বানান ভুলে ভরা আজগুবিরা।
কবিতা আমি তখনও লিখতাম ,পোক্ত হইনি এই যা!
পাতা ওল্টাতেই চোখে পড়ে,
হাজারো নিষেধাজ্ঞার জেরে আমার স্বপ্নগুলোর স্বেচ্ছামৃত্যু,
আমার নাচের স্কুলের শেষ দিনটাও আছে পাতার ভাঁজে,
ডায়েরীর ও জানা ছিল না আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর কথা,
তাকে নিয়েও এত কিছু লেখা?
ডায়েরীর মাঝেরটা জুড়ে আমার প্রথম প্রেম যা পরিনতি পায়নি ঠিকই,
তবে রয়ে গেছে এভাবেই।
ডায়েরীর শেষের বেশ কয়েকটা পাতায় লেখাগুলো আবছা,
চোখের জলও আমার হেরে যাওয়াকে মেনে নিতে পারেনি সেদিন ।
তারপর তো আমার বাড়ী ছেড়ে অন্যের বাড়ী আসা, অবাধে চললো
বিয়ে নামক ছাড়পত্র পেয়ে শরীর ভোগের খেলা।
আমার আর নিজের পায়ে দাঁড়ানো হলোনা।
নাহ্! আর পড়তে পারলাম না শেষটা,
ডাক পড়লো আমার,
বন্ধ করলাম ডায়েরী,বেড়িয়ে এলাম ঘর থেকে ।
ফিরে এলাম চেনা রাজ্যে আবার ,
অজস্র গিরগিটি আর কৃত্রিম ভালোবাসায়।।
ডায়েরীর শেষ পাতাটা না হয় অদেখাই থাক..
Facebook Comments Box