আগের কোন জন্মের ঘুম
ঘুলঘুলির পাতলা রোদে ভাঙার নয়, তাই
দ্বিপ্রহরের হিমশীতল পাখিরা হয়তো
আতরের গন্ধমাখা ডানা ঝেড়ে
বারবার গলা সেধে ফিরে গেছে; সেদিন
শেষমেশ আমি জাগতে চাইনি
অকালের বেকার খোলস ছড়ানো
চৌমাথার ভিড়ে ঠাসা লোকালয়ে, সেখানে
একটাও জীব জানে না যে
আমার আর জেদ ধরার সাধ্য নেই,
ছন্নছাড়া পথের নৈঃশব্দ্য
ভোরের কাছে আমায়
আজন্ম ঋণী করে রেখে গেছে,
ডাগর চোখের বয়সে
আনমনে চেয়েছিলাম একদিন, ক্লান্তি ঝরানো ঘাসের
আগাগোড়া শিশিরে মোড়া ছিল,
গল্পের জীবনে অভ্যস্ত আমি
জীবনের গল্প বুঝতে আর শিখিনি –
আলো-আঁধারির ঘোরাঘুরি খেলায়
বুঝি কোনো ফারাক ছিল না;
দুদিনের খেয়ালের মতন
চামড়ায় বলিরেখার অভিশাপ হয়ে এসেছিল
সেই কবে, ফেরার তারিখ লিখে আনতে
তার নিশ্চয়ই সময় হয়নি…