প্রথম বসন্তে…
তখন আমার পনেরো হবে, ক্লাস নাইনে পড়ি,
মাঝে মাঝে চোখাচোখি, স্কুলের পথেই বাড়ি।
কার বাড়ি? তার নাম জানা নেই, খুব চেনা
মুখ খানি, স্কুলের পথে আমি নিতান্ত আনমনা।
জানলা দিয়ে চোখ চলে যায় ব্যস্ত ক্লাসের মাঝে,
দেখতো সেও, করেনি স্বীকার, ব্যস্ত নিজের কাজে।
আসা যাওয়ার জন্য তখন ঘুরপথটাই বাছি,
গলার আওয়াজ শুনতে পেতাম, বাড়ির কাছাকাছি।
বুঝতে পারি বুঝছে সবই, বলছেনা মুখ ফুটে;
আমি তখন লজ্জা রাঙা, কখনো ভয়ের চোটে,
পালিয়ে বেড়াই, পাড়ার পুজোয় ব্যস্ত থাকি,
সে এল ঠিক সময়… “আর কি কি বাকি”?
“আমায় বলছিস? হয়েই গেছে, পুজো শুরু হবে।”
মিলিয়ে গেল লোকের মাঝে, ভীড়েই খুঁজি তবে।
ভীড়েও তাকে খুব দেখা যায়, লম্বা সবার চেয়ে,
মনের কোণে অন্য রঙ-বসন্ত আসে ধেয়ে।
অন্ধকারে আমরা একা, বিসর্জনের বাদ্যি,
আমরা তখন পাড়ার পুজোর কাজে মন দিই।
কাটল বছর অনেক গুলোই, মন ঘুরেছে কবেই!
পাড়ার পুজো এলে জানি আবার দেখা হবেই।
প্রতি পুজোয় পাড়ায় এখন আসা যাওয়া থাকে,
কখনো বা একসাথেই প্রণাম করি দুগ্গা মাকে।
কিছু গল্প কবিতাই হয়, মনে থেকে যায় রেশ,
আমাদের গল্প তেমনই, যার শুরুতেই ছিল শেষ।।