বন্ধুত্বে মন ভাঙেনা? কী বলছেন মশাই!
বন্ধুত্বহীনতায় ভুগেছেন কখনও?
একলা ঘরের কোণে বসে ফিকে হয়ে যাওয়া
বন্ধুত্বের জন্য কেঁদেছেন কখনও?
মন থেকে সবটা দিয়ে কখনও ভালবেসেছেন বন্ধুকে?
না না! বন্ধুর প্রতি একতরফা প্রেমের কথা বলছি না,
নিখাদ একটা বন্ধুত্বের ভালবাসা।
হয়েছে কখনও?
হ্যাঁ, শুনতে হাস্যকর লাগছে বটে।
আপনি এবার ভাবতেই পারেন,
দু-সপ্তাহ validity যুক্ত প্রেমের যুগে,
বন্ধুর প্রতি আবার নিখাদ ভালবাসা!
এও সম্ভব? এত সময় কোথায়
বন্ধুর জন্য কেঁদে চোখ ফোলাবার!
তবে কী জানেন,
এখনও কেউ কেউ বন্ধুত্বহীনতায় ভোগে,
হারানো বন্ধুর জন্য বালিশ ভিজিয়ে কাঁদে,
কষ্ট পায় তাদের পাঁচজনের ভিড়ে মিশে যেতে দেখে।
আসলে আমাদের মতো মানুষদের
মানে ওই মুখচোরা, introvert গোছের আর কি!
খুব বেশি বন্ধু হয় না দু-একজন ছাড়া,
হঠাৎ করে লাফিয়ে উঠে, সেলফি তুলে
আমরা ঠিক “বন্ধুত্ব” করতে পারিনা।
দু-এক জন কাছের মানুষকে নিয়েই
আমাদের বন্ধুমহল, যাদের আমরা
বুকের ঠিক বাঁ পাশটায় রাখি।
সুখ,দুঃখ, হাসি,কান্না সবের অংশীদার তারা।
অনেক ভালবাসা,অধিকার,আবদারের জায়গা তাদের।
আর ঠিক সেই বন্ধুই যখন ঠেস মেরে কথা বলে,
আমাদের মতো আঁতেল বন্ধুদের জায়গাটা ঠিক কোথায় বুঝিয়ে দেয়,
তখন জোড়ে ধাক্কাটা বুকের ঠিক বাঁ দিকটাতেই লাগে।
সজোরে মন ভাঙে..
প্রচন্ড ডিপ্রেশনে ভুগে কোনো এক রাতে
একটু কথা বলার জন্য যখন মুখচোরা বন্ধুটি
তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুটিকে ফোন করে,
ফোনের ওপারে কান্না মেশানো ধরা গলা শুনেও
“এই এক ঘ্যানঘ্যানানি নাটক” শুনবে না বলে
ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যায়,
তখন মন ভাঙে..
সবচেয়ে বেশী যার উপর ভরসা ছিল
সেই যখন শুধুমাএ তার “প্রিয় বন্ধুকে” জানাবেনা বলে
অবিরাম মিথ্যে কথা বলে
তখন মন ভাঙে, কষ্ট হয়।
ফোনের caller tune অনবরত বেজে যায়,
হাজারও ম্যাসেজের কোনো উওর আসে না।
ঠিক এইরকম পরিস্হিতিতে যদি
সেই বন্ধুটিরই ফোন আসে,
খুব খুশি হয়ে ফোনটা ধরে যখন জানতে পারি,
সে শুধুই নিজের প্রয়োজন টুকু মেটাতে ফোন করেছে,
প্রয়োজনের কথাটুকু শেষ হলে,
ফোন কেটেছে বিনা দ্বিধায়।
তখনই মনটা ভাঙে বুঝলেন!
শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা বুকে হাতুরি মেরে
চলে গেলেই মন ভাঙে না,
বন্ধুত্বের ভালবাসায় নিঃশব্দেও কত মন ভাঙে।
কী বলুন তো,
এসব সাদামাটা গল্পের খবর আপনারা রাখেন না!
কবির কবিতায় এদের ঠাঁই হয়না।
এরকম কত আঁতেল বন্ধু হারিয়ে যায়,
যাদের কেউ খোঁজ করে না।
বন্ধুত্বেও মন ভাঙে মশাই
শুধু আপনারা শুনতে পান না..