শহরের পথে–
অনেক বছর বাদে, নাতির সাথে গাড়ি চড়ে শহর ঘুরতে বেড়িয়েছেন অঞ্জলি দেবী। ষোলো বছর বাদে আবার এই শহরে আসা। বাইরে রোদের তাপ থাকলেও গাড়ির ভিতর এসি চলায়, তা বোঝার উপায় নেই। গানও একটা চলছে বটে, তবে ঠিক মনে ধরছে না অঞ্জলি দেবীর।
রাস্তায় এত গাড়িঘোড়া তো আগে ছিল না,রাস্তাঘাটগুলোও অনেক রূপ বদলেছে।তবে গতবার একটা কোমলতা পেয়েছিলেন অঞ্জলি দেবী, এই তাড়াহুড়োটা ছিল না। তাঁর মনে পড়ে যায় গতবারের কথা, সেইবারের কলকাতা ভ্রমণের কথা, আর সেই বাচ্চাটার কথা।
তার এই ভাবনাকে ভেঙে দিল জানলার ‘টকটক’ আওয়াজ, সেই একটি সাত-আট বছরের ছেলে,আমলকী বিক্রি করছে।
“বাবু কাঁচটা একটু নামা, বাচ্চাটার থেকে কিছু কিনে নে।” “দু-প্যাকেট ছ-টাকা দিদু।” কি করে এত মিল থাকে দুজনের মধ্যে!
বাবু বাচ্চাটাকে কিছু পয়সা বাড়তি দিল।
“এই শোন, এই চকোলেটটা রাখ, খেয়ে নিস।” বাচ্চাটির মুখের হাসিতেই যেন অঞ্জলি দেবী খুঁজে পেলেন এক সরলতা, তার মনে হল এই ছেলেটির মধ্যে আজও লেগে আছে সেই পুরোনো শহর।