শুকনো গোলাপে বন্দি স্মৃতি
বর্ষার আদরে তোমার নামে আজো
মনের শহর জুড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস!
হেরে গিয়েছি সেদিন,
যেদিন প্রেমের কাছে ভালোবাসা হারল!
এ প্রেম সেই প্রেম নয়!
বুকের উষ্ণতায় তুমি যতবার প্রেম পোড়াতে চেয়েছ,
আমি ততবার বুকে টেনে তোমায় বলেছি ভালোবাসি।
তবুও তুমি অবহেলে ঠেলে দিয়ে,
সমস্ত আবেগ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেছ
রাত্রের অগোছালো বিছানায়!
আমার শরীরে শরীরে তুমি সহজেই প্রেম ছড়িয়ে দিয়েছে,
অথচ একবিন্দুও ভালোবাসতে পারোনি!
শুকনো গোলাপে আঁকা কবিতার জাহাজে
তোমায় নিয়ে ভালোবাসার সাম্রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলাম।
আজীবন থেকে যেতে চেয়েছিলাম ওই দুচোখে
জীবনের সমস্ত সুখের মূহুর্তের প্রতিচ্ছবি দেখে।
আয়না ভেঙে চুরমার করে তুমি প্রমাণ করলে
ভাঙা মন জোড়া লাগানো যায় না!
তবে আমি ফেলে এসেছি অর্ধেকের বেশি কিংবা হয়তো সবটুকু,
যতটা ভালোবাসা পেলে একজন আরেকজনের হয়!
ফিরে তাকিয়ে দেখেছি শুধু কুয়াশায় ঢাকা,
তোমায় ফিরিয়ে আনার অচেনা পথ।
খুঁজেছি পুরাতন তোমায়,
পুরাতন হলেও ভালোবাসায় মুড়ে রাখা তোমায়।
শরীরের চাহিদা মেটানো প্রেমে নয়
আমি পুড়তে চেয়েছি তোমার পুরাতন ভালোবাসার জ্বরে।
তোমায় খুঁজতে গিয়ে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি,
মহাসমুদ্রের ঢেউয়ের ভেতর।
এই ঢেউয়ের সঙ্গে কথা বলে তোমার আমার ফেলে আসা প্রেম!
অথচ তুমি আমির সম্পর্কে সহজলভ্য ইতি টেনে
স্মৃতি রেখে গেছ একটিমাত্র শুকনো গোলাপ!
আমরা কত সহজে হার মেনে নি,
কিন্তু চলার পথে আঁকড়ে থাকি
সেই ঔপনিবেশিক প্রেমের গল্পটাই!
পিছুটানে টানতে থাকে হৃদঘরের মানুষটা।
যদিও আর ফিরতে চাইনা,
প্রেমময় শহরের অন্ধকারে
যেখানে রোজ ভালোবাসা
একটু একটু করে মরতে থাকে!
তবুও তোমায় মনে পড়ে রাতের তারার আলোয়,
এখনো কবিতা সাজিয়ে রাখি তোমায় উপহার দেব বলে।
তুমি তো তোমার শরীরে সহজেই এঁকে নিয়েছিলে আমায়,
তবে কেন মনের বেলায় পারলে না!
এসব আকাশকুসুম ভাবতে ভাবতেই কত রাত্রি কেটে গেছে,
সময়ের স্রোতে ভেসে গেছে দেওয়া নেওয়া কথারা!
আজ সবকিছুর সাক্ষী থাকে তোমার দেওয়া,
বৃষ্টির অনাদরে পড়ে থাকা শুকনো গোলাপ!
যার প্রতিটা পাপড়ির রন্ধ্রে রন্ধ্রে
লুকিয়ে আছে তোমার আমার প্রেমালাপ।
হয়তো বা আমাদের কোনোদিন প্রেমের বয়স হয়নি বলে,
শুকনো গোলাপের লাল দাগ পড়েছে সম্পর্কের শেষ পৃষ্ঠায়!