তোর এই অপ্রেমিকার চিঠি আশা করিসনি তো? -জানি, না করারই কথা।
বহুকাল দেখা-সাক্ষাৎ নেই, কথাবার্তা নেই, অনেক কিছুই পাল্টেছে। তুই, আমি, আমাদের সম্পর্ক, চারপাশের মানুষজন সবই। এর মধ্যে অনেকগুলো চিঠি লিখেছিলাম জানিস, তার সবকটাই “না পাঠানো চিঠি” হয়েই বাক্স বন্দি হয়ে রয়েছে।
অভিমান? -নাহ! অভিমান করে পাঠাইনি এমন নয়, আর কার ওপরই বা করব ? অভিমান আর হয়না। তবে কোনো প্রয়োজনে নয় আবারও ভীষণ অপ্রয়োজনেই আজ লিখতে বসেছি..
যাক, কেমন আছিস? ভাল আছিস তো? -হয়তো, ভালই আছিস তবে অনেক পাল্টে গেছিস জানিস, মাঝরাতে যখন মুঠোফোনে মুখ গুঁজে সময় কাটাবার চেষ্টা করি তখন মাঝেমাঝে চোখে পরে তোর ছোট ছোট বদলগুলো।
আজ তুই অন্য কারর প্রেমিক। আচ্ছা, এখনও আগের মতোই জেদ করিস ? অযথা রাগ করিস ? তোর প্রেমিকা রগচটা অবাধ্য তুইটাকে সামলাতে পারে? এখনও প্রেমিকাকে দাঁড়তে বলে, আসতে দেরি করিস?
মনে আছে কতবার আমাকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখেছিলি! আচ্ছা এখনও…….. বড্ড অবান্তর প্রশ্ন করছি তাই না? কি করব!
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে এসব জানতে, খুব ইচ্ছে করে জানতে তুই ভাল আছিস কিনা! আমরা দুজন সম্পূর্ণ বিপরীত দুটো মেরুর বাসিন্দা জেনেও তোকে ভালবেসেছিলাম। চেষ্টা করেছিলাম তোকে তোর মত করে ভাল রাখার, সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখার। তোর ভাল থাকাটাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের অস্তিত্বটা এভাবে হারাবে বুঝিনি।
দিনের পর দিন আমার প্রতি তোর অভিযোগ বেড়েছে, অশান্তি বেড়েছে, এত চেষ্টার পরেও তোরও আর আমার সাথে ভাল থাকাটা হয়নি, তোর অবিশ্বাসের পারদটাও নামে নি! তাই দূরে সরে গেছি। তবে আগের মতো এখনও চাই ভাল থাক, যদিও আমার চাওয়ায় কিছু যায়-আসে না !
তবুও বলব ভাল থাকিস, পাশের মানুষটাকে ভাল রাখিস, অধিকারে নয়, বিশ্বাস আর ভালবাসায় বাঁধিস।
-ইতি, তোর অপ্রেমিকা