|| বেনামী অগ্নিকন্যা ||
“টোবাকো কজেস ক্যানসার” এর মত সমাজকে তোয়াক্কা না করে,
একটা কালজয়ী প্রেমের স্বপ্ন দেখিয়ে,
প্ৰথমত থাকাথাকি, কাছাকাছি, একসাথে, খুব |
বৃষ্টির ফোঁটারা উষ্ণতা পেত দুজনের আঙ্গুল ফাঁকে,
প্রেমের সীমানা রাখা ছিল দিগন্তরেখার পাশে,
সমুদ্ৰ মন্থন হত আঁচড়ে আঁচড়ে |
তবুও, নদী, নদীর দুই পাড়,
পাশাপাশী চলেও , মোহনাতে বিচ্ছেদই একমাত্ৰ বাস্তব |
কোনো এক রাতে,
প্রখর রোদে ঝলসে যাওয়া লতা পাতার বুকের মত
ক্লান্ত রাগ ছোবল মারত প্রেমের বাহু পাশে |
কে কার জন্য করেছে ?
কে বেশি ? কে কম ?
এই সব প্রশ্ন নদীর দুই পাড়কে শুধু মোহোনার দিকেই ঠেলে নিয়ে যেত |
তারপর স্বাভাবিক নিয়মেই বরফ পরে ছিল,
সম্পৰ্কে|
তারপর সময়ের সাথে চতুৰ্থঘাতে দূরত্ব ও বেড়েছিল |
তারপর শুধুই হারিয়ে যাওয়া ,
হেরে যাওয়া , প্রতিদিনের ক্লান্ত সৈনিক|
দুজনেই | পৃথক |
তারপর কোনো একদিন,
ব্যস্ত দুপুরে মৌনতামুগ্ধ ফোন |
লান্চ ব্রেক |
সাতটা মিসড কল !
আরো একটা আবার আসছে …
তারপর বসের ঘর,
না খাওয়া টিফিন,
প্রশ্নমথিত পাশের কেবিন |
বেসিনের জল, এটিএম এর টাকা,
দুয়েক জন বন্ধুকে ডাকা |
তারপর প্ৰশ্ন,
কেউই কাঁদছে না কেন ?
শুধুই কেচ্ছা রটছে কানে কানে ?
আত্মীয় কেউ আসবে না,
সবাই জানে ভাল করে |
তারপর ডাক্তার, পুলিশ, ঝামেলা |
“তাহলে শব যাত্ৰী যাচ্ছেন কারা কারা ?”
গভীর রাতে সাদা খই রাস্তায় গড়ায়,
সিনেমার শেষ সিনের মত করে “বডি” আর আগুনের মিলন ঘটে |
চুল্লির উষ্ণতা বাড়ে,
আর শরীর পোড়ে কোনো এক আগ্নি কন্যার |
অন্যসব অগ্নি কন্যার মত করে ||