থমকে যাওয়া যায়।
যখন শিশির ধোয়ায় আবেগ হস্তক্ষেপ করে,
ভেজা মাটির হাওয়ায়,
ব্যর্থ অধিকার ছুটির ঘন্টা শুনে ছুট্টে ধরে
পুরনো চলন্ত স্কুল বাস।
আর অবৈধ নিঃশ্বাস।
অনুভূতির লেখায়,
থমকে যাওয়া যায়।
থমকে যাওয়া যায়।
যখন কাদম্বরীর শেষ চিঠিটা একলা ঘরে
গুমরে গুমরে মরার চেষ্টায়,
কুসুম বনের রাজকুমার দাঁড়িয়ে দোরে।
তার “পুরাতন” অবহেলা।
শেষ হল অভিমানের পালা।
গানের মালায়,
থমকে যাওয়া যায়।
থমকে যাওয়া যায়।
শুনলাম নাকি তার যৌবন কড়া নারে।
সাদা রক্তের থান গায়।
আগুনে মেয়ে শুধুই এক বাল্য-বিধবা হয়ে হারে।
ঠাম্মার মুখের আশা।
সেই গভীর হতাশা।
নিশাচর নস্টালজিয়ায়,
থমকে যাওয়া যায়।
থমকে যাওয়া যায়।
কলেজের ক্যান্টিনে ছেলেটা তার সাথে দেখা করে
কত ইচ্ছে চিঠির কবিতায়,
লালন কবি তারপল অনায়াসে মরে।
ভোরের ময়দানে গুলির আওয়াজ।
আর সেই অপূর্ণ কাজ।
ঘর ফেরার আশায়,
থমকে যাওয়া যায়।