সবাই যখন তোমার শিস দেওয়ায় মোহিত হয়ে ছিল—
আমি তোমার মিশ-কালো গোঁফে মোড়া বাদামী ঠোঁটটা দেখছিলাম।
শিস দেওয়ার সময় যখন তা চুমুর আকার নিচ্ছিল…
আমার শরীরে তোমায় মাখার এক দুর্দান্ত ক্রাইসিস জন্মাচ্ছিল।
অচেনা তোমার জাত-পাত, পছন্দ, কামুক ইচ্ছেগুলো জানার অনিচ্ছা সাথে নিয়েই তোমার সাথে শোওয়ার দুঃসাহস পোষণ করে নিয়েছিলাম।
হঠাৎ করে যেমন প্রেম পায় তেমন তো শোওয়াটাও হঠাৎই পায়…
বরং শোওয়া বা চুমুটাই আগে পায় যেটা কে প্রেমের নাম দিতে হয়,
নাহলে চরিত্রহীন,পার্ভার্ট আর কতকিছুই নাকি শুনতে হয়।
তোমার পাশের বন্ধুর সাথে তোমার কথা বলার সময়— তোমার ওই দাপুটে গলার আওয়াজটাই আরো বেশি দুর্বল করেছিল,
এতটা দুর্বল যে আমার নিজের সবকিছু নিমেষে তোমার চওড়া কাঁধে অর্পিত হতে চাইছিল;
সামাজিক বিধিগুলোর তোয়াক্কা না করেই একবার শেয়ার আর্জিটা জমা দিতে ইচ্ছে করছিল।
আমার চোখটা কেমন যেন তোমাকে চিরুনি-তল্লাশ করেছিল,
তোমার গায়ের রঙ, চশমার ফ্রেম, ভি-গলা গেঞ্জির ফাঁক দিয়ে দেখা যাওয়া বুকের লোম…
না, আমি তোমার প্রেমে পড়ি নি। তোমার শরীরে পড়েছি…
সেই মুহূর্ত থেকে এখনও অবধি আমার শরীরের দরকার ও আকাঙ্ক্ষায় তোমায় রেখেছি;
ম্যাগাজি্ন, সিনেমা বা রাস্তায় দেখা আর অন্য কোনো পুরুষ আমার শরীর এই মুহূর্তে তেমন ভাবে টানছে না।
যদি খিদের এই একগামীতাকে প্রেম বলা যায়— তাহলে আজকাল আমি, তোমার প্রেমে পড়েছি।।
তোমার সাথে শোবো
Facebook Comments Box