বললে তুমি বিশ্বাস করবে,
তবে আজ বলি,
জানিনা কখন,
তোমার হৃদয়ের শেকলে বাঁধা পড়েছে আমার প্রাণ।
সারাদিনের ইঁদুরদৌড়ের শেষে পরিশ্রান্ত মনটা তোমার আবেশে,
চঞ্চলতার পরিসীমা ছাড়িয়ে উদ্বেগ হয়ে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে!
এক আকাশ সুখ যেন সংরক্ষিত আছে ওই কোমল পাহাড়ের উপত্যকায়!
বিশ্বাস , অবিশ্বাস একটা কাচের এপার ওপারে,
তুমি আমির যে দূরত্বটা তৈরি করেছে, সঠিক সময়ে মাপলে প্রেমটাও কমে গেছে, শুধু বিছানায় শরীরের ছোঁয়াছুঁয়ি খেলায়
দুটো মনেের মিল হয়তো হয়না কোনো রাতের শেষ ,
ভোররাতে শুধুু নিজেকে প্রশ্ন করেছি দোষী হবার জন্য!
বিশ্বাস কর,
কবিতাতে আস্ত একটা তুমি থাকো,
শহরের কলকারখানা, ব্যস্ত যাতায়াত, ক্যাকোফনির কলরবের থেকে বহুদূরে,
স্নিগ্ধ বাতাসের মিষ্টি সুবাসে ভরা তোমার প্রতিটা অঙ্গ।
নেশায় মাতোয়ারা হয়ে রোজ খুঁজি তোমার আঙুলের যাদু স্পর্শ।
আমার সমস্ত স্বপ্নেরা মধ্যাকর্ষণের টানে, যেন অগোচরে লুকিয়ে আছে তোমার দেহের কাঠামোয়।
ভিড়ে ঠাসা বাস, ট্রেনের বাইরে
ব্যস্ততা আর বাস্তবের গল্প দিয়ে
তোমায় আমি রোজ লিখি ডায়েরির অর্ধনগ্ন পরিচ্ছেদে,
খুঁজে পাই ঘুমভাঙার আকস্মিক চেতনার নিবিড়তায় চারিদিকে।
আমার কল্পনায় তুমি চারিত্রিক ভাবে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছ।
তুমি রয়েছে হৃদকম্পনের প্রতিটা সংকেতের ঠিকানায়!
অজস্র ভুল করা ব্যাকরণের শেষ পাতায়!
অথবা বিশ্বাস ভাঙলে,
দোষ, ত্রুটি মুখোর ওপর ছুঁড়ে
মুক্তি চাইলে শেকলে বাঁধা হৃদয়ের আদর থেকে
অবশেষে এসে আমার প্রেমটা থেমেছে।
কলেজের গণ্ডির বাইরে আর তোমাকে খুঁজে পাইনি,
বিকেলের সুখটানের আকস্মিক পোড়া গন্ধে!
অ্যাশট্রের জমা ছাইয়ের সাথে মিশে আছে ধূলোমাখা গল্পগুলো,
মৃতপ্রায় ওরা, হাতে আজও খুনের চিহ্ন ঘোরে।
অক্সিজেন কমে আসা পরিবেশে প্রেম অনেক ওড়ে।
মুক্তির তৃষ্ণায় ভালোবাসা আজও ফুঁপিয়ে কাঁদে একলা ঘরে।