শিকড়

এত স্পষ্ট হয়ো না।
চোখ জ্বালা করে আমার –
বটের শিকড় জমা হয় হৃৎপিন্ডে,
হৃৎপিন্ডতো আদিম জল,
জলে  ধারালো মোহো ঘোরাফেরা করে বটের শিকড়ে।
আলোর গন্ধে যেভাবে সনাতনী মাছ দেখা যায় সাবেকী গন্ডুসে, তেমনি তুমিও।
তেমনি তুমিও স্পষ্ট হতে থাকো আমার শিরায়,শিকড়ে।।

এত সত্যি বোলো না।
সত্যিতে আমি অসুস্থ হয়ে যাই-
চোখের পাতায় ঘুন ধরে তোমার সত্যির শীতে,
বৃদ্ধ বিশ্বাসকে কুরে কুরে খায়, আধখাওয়া অভিজ্ঞতা উঠোনে ছড়ায়।
গুঁড়ো গুঁড়ো অলস দুঃখ ঝরে পড়ে বিছানার চাদরে,যেখানে রাত আঁকা থাকে, চাঁদ ওঠে, শোনা যায় তোমার প্রিয় গান।।

এতো স্নেহ কোরো না আমায়।
ক্ষত হয়, আলগা হয়ে পড়ে ক্ষতের ইতিহাস-
আগুন জ্বলে ওঠে, অভ্যেসের জ্বালানিতে
আগুন জ্বলে ওঠে মাথার ভেতর কুন্ডলীকৃত শীরায়
পঙ্গু হয়ে যায় বহু জন্মের চিন্তা চেতনা, উন্মাদ নৃত্যে…
ভাবনা এলিয়ে পড়ে সেই দন্ডিত অভ্যেসের আগুনে।
শোনো! গোলাপে মন নেই, ছিলোও না কোনো দিন
বরং ধুলো জমা কলমি ফুলে প্রেম পায়,
হালকা বেগুনি রঙের প্রেম, শার্টের কলারে, বোতামে
শিকড় ছড়ায়
তাই ভয়ে ভয়ে থাকি যদি সে শিকড়ে তুমি বাঁধা পড়ো,
শ্বাস নিতে পারবে তো? জানিও।।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *