সারাবিশ্ব জুড়ে চলছে ভয়ঙ্কর মহামারী,
কেউ জানি না, কে বাঁচবো এবং কে মরবো।
তবে আমি যদি বেঁচে যাই, শুধরে নেব নিজেকে,
আমার মতো অনেকেই হয়তো এমনটা ভাবছেন।
তাই যদি হয় তবে মারামারি, হানাহানি, চুরি ও ডাকাতি
কিছুই থাকবে না আর।
আজ আমি ভাবছি বসে, কি কি ভুল করেছি।
হিসাব করে দেখি, এত ভুল!
এ আমি কি করেছি এতদিন, একটার পর একটা ভুল!
এতো ভুল কি কেউ করে?
ভুলের একটা লিস্ট করে নিলাম,
এখন থেকে যতদিন বাঁচবো, একটা একটা
করে শুধরে নেব। কি ভাবছেন?
সব তো শোধরাতে পারবো না,তাই তো?
আমার ভুলের হিসাব করতে গিয়ে দেখি,
এমন কিছু ভুল আছে,যা আর শুধরে নেবার সময় নেই।
অঝোর ধারায় অশ্রু বইছে কিন্তু লাভ কি?
এটাও পড়ুন
অনুরাগ-আলাপের-সাতকাহন
সময় যখন ছিল ভুল শুধরে নেবার,
তখন বুঝেও না বোঝার ভান করে-
কিছু কিছু ভুল করেছি।
এখন মিথ্যে কেঁদে কি হবে?
কথায় আছে যে, সময় গেলে সাধন হবে না।
আর তো সময় নেই, তাই আর কেঁদে কি হবে?
তবে আজ যে ভাবে ভাবছি আমি,
সময় থাকতে যদি এভাবে ভাবতাম!
তাহলে হয়তো ভুলের সংখ্যাটা অনেক কম হতো।
হয়তো আমার জীবনটা আরো-
উজ্জ্বলময় ও আনন্দময় হতে পারতো।
আমার বাবা, মা বলেছেন পড়াশুনা করার কথা,
কিন্তু তখন তাদের কথা কানেই নিতাম না।
আজ আমি মানুষ হয়েছি ঠিকই, কিন্তু ভদ্র সমাজে
মেশার মতো যোগ্যতা আমার নেই।
আজ আমার ছেলে মেয়েকে পড়াশুনা করার কথা বলি,
কিন্তু আমি তো তাদের পড়াতে পারছি না।
কারণ আমি যে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়েছি,
তাই আমি আমার সন্তানদের ইচ্ছে হলেও
পড়াতে পারছি না, এটা কতটা যে কষ্টকর!
আজ আমি চাই আমার সন্তান উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক।
সেইরকম আমার বাবা-মা ও তাই চাইতেন।
তাদের ইচ্ছে পূরণ হয়নি,
চেষ্টা করলে কি আমি পারতাম না?
অবশ্যই পারতাম, এটা আমার ইচ্ছাকৃত ভুল,
যা আমি আর কোনোদিন শোধরাতে পারবো না।
তবে যে ভুল এখনো সময় আছে শুধরে নেওয়ার,
যতটা সম্ভব শুধরে নিয়ে,
আজ থেকে নতুন পথে চলবো।
চেষ্টা করবো ভুল না করার,
তবেই তো বাঁচার এক নতুন মানে সৃষ্টি হবে।