শেষবয়সী
একটা, লাইলনের দড়ি আনলাম
বারো হাতের বেশি বড়ো না,
অনেক দিন পর নিজের জন্য কিছু কেনা।
মনে পড়ে, প্রথম যখন
তোমার জন্য এই অল্প মাইনে
পাওয়া কেরানী, এনেছিল
একটা রুপোর সিঁদুর কৌটো।
তোমার মুখের সেই
হাসিটা দেখে যে সুখটা
আমি উপভোগ করেছিলাম
আজও ঠিক তাই।
তারপর ছেষট্টি টা বছর একসাথে
মাঝে ছেলে- মেয়ে- সংসার,
ভালোবাসা বাসির
অঙ্কটা মিলিয়ে লেখা।
সব্বাই কে গুছিয়ে দিয়ে
যখন দেখি আমার বন্ধ ঘড়িটা
ঠিক জায়গায় রাখা,
তখনই খাটের কোণে
চোখ বুজেছো তুমি।
আলতা সিঁদুরে রাঙা দেহটা এল আর গেল…
আজ সাতষোট্টি তম বিবাহ বার্ষিকী
ওপর তলাটা বড্ডো ছোটো
তাই নীচের তলাটা তলিয়ে দেখতে গিয়ে
শূন্যের হতবুদ্ধিতে হাত বাড়ালাম।
তোমার সাথে বাঁধা ঘরের বাইরে,
দুয়ার কে বেছে নিলাম।
লাইলনের দড়িটা কাজে লাগালাম।
কারণ,
আমি একা থাকতে ভালোবাসি না…।