সময়ের যবনিকা পতন

সময়ের যবনিকা পতন

তারারা পড়ে থাকে—
কাঁকড় বিছানো পথে, মাঠে, প্রান্তরে,
তরুণ গাছের তলায়,
নাগকেশর ইউক্যালিপটাসের ঝরা পাতায়,
ছটফটিয়ে মরে মুক্তির আশায়।
ঝরা পাতার খসখসানি বলে—
সঠিক পথের নিশানা।
হিমেল আঁধার মাঝে,
নিজের হারানো অতীতকে খুঁজতে, একছুটে চলে যাই এক যুগ পেরিয়ে, সেই সোঁদা গন্ধ ধরে…
মনে হয় ছুটে গিয়ে জিগ্যেস করি,
“মন, তুমি কেন শূন্য, অনন্ত?
তোমার কি একা লাগেনা?
বছরের পর বছর শূন্য আঁকড়ে থেকে, তোমারও তো জীবনে আসে বসন্ত…”
তুমি যেন এক ভয় পাওয়া দুপুর!
না চাইলেও চমকে ওঠো, ঘন কুয়াশার মাঝে একবিন্দু আলো দেখে…
তুমি জানো, হয়তো সেই আলোটাও একদিন নিভে যাবে, আবারো ঢেকে যাবে তুমি ঘন আঁধারে!
তবু তুমি আঁকড়ে ধরে বাঁচাতে চাও…
প্রেম, প্রীতি, ভালোবাসা—
সে ছিল গোপন নীরবতা।
সকল কাজ শেষে হয়তো সে এত দূরে গেছে;
সবাই যেখানেই যায়, যাওয়ার সময়, বলে ‘আসি’।
মনে হয় খেলাঘর, খেলা করে গেল কিছুদিন…
কথা কয়ে যায় স্মৃতি,
চেনা গন্ধ ধরে পৌঁছাতে চায়, জীবনের গূঢ় কেন্দ্রে৷
যদি আবার শুরু হয় প্রথম থেকে।
সময়ের যবনিকা পরে, স্তব্ধ অন্তরালে, এক আত্মিক অনুভূতি।
ঝরে পড়া অশ্রুজল, সযত্নে তুলে রাখি অপেক্ষা করে স্মৃতিপথ, আবার অশ্রুসিক্ত হবার আশায়।
আবার অঙ্কুরিত হবে স্মৃতি, পুনর্জীবনের পথে।
স্তব্ধতার প্রহর গুনে চলে, সহস্র হাসি-ব্যথা মাখা অনুভূতি— প্রাণের অন্তঃপুরে গুঞ্জরিত শতেক স্বপ্ন, রুদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে, সময়ের কারাগারে, মুক্তির অপেক্ষায়।
কে যেন কানে কানে বলে, “বাড়ি ফেরার পথে অপেক্ষাদের বোলো ফিরে যেতে”।।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *