নখের আঁচড় কাটছি সারা শরীরময়,
খুঁটিয়ে দেখছি শরীরের প্রতিটা অংশ;
এ চামড়ার ওপর দিয়ে বয়ে যায়,
সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-রাত্রির কত গল্প।
এ শরীরে আঘাত লাগলে ক্ষত হয়, ব্যথা লাগে ভালোবাসার যত্নে এ শরীর আবার প্রানও পায়।
এ শরীরের লোমের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে
লুকিয়ে থাকে হাসি- কান্না,
সোহাগী হাতের স্পর্শের বাসনা;
এক বিশাল বিশ্বাসের অট্টালিকা আছে
যেখানে বিষন্নতা কাটিয়ে আশার আলো খুঁজে পাই।
এই শরীরকে কাটাছেঁড়া করতে করতে পেলাম
এক মায়ের নিবাস,
যেখানে জন্ম নেয় হাজারো হাজারো সন্তান,
তাদের বিশুদ্ধ মায়াজালে নিজেকে হারিয়ে ফেলি অনায়াসে
অবসাদ যেন ছুটি নিয়ে ঘরে ফেরে জীবন থেকে।
তবুও শরীরে এত লোভ?
ছিঁড়েকুটে রক্ত খাও দুহাত ভরে,
তৃষ্ণা মেটাও মনকে নিংড়ে পান করে।
চিৎকার করে আর্তনাদ ছুঁড়ি-
এ শরীরেই জন্ম তোর,
পেয়েছিস প্রান এ শরীর থেকেই,
একদিন এ কোলেই খেলে বেড়িয়েছিস,
বেড়ে উঠেছিস এ হাত ধরে।
আজ তবে কেন লালসার জিভ নিয়ে
স্বাদ নিস এ শরীরের?
চুষে খাস বেঁচে থাকার রস?
এখনো কাটাছেঁড়া করছি সারা শরীর,
দেখি লোভনীয় কিছু মেলে কিনা!