আমার নিজেকে ভালোবাসাটা আগে দরকার।
যে আমিকে, কোনো বাইরের কেউ গড়ে তোলোনি, সেই আমি কে ভাঙার ক্ষমতা যে কারোর থাকতে পারেনা।
তিলে তিলে আমি নিজেকে তৈরী করেছি, তাকে ভেঙে দেওয়া, এতোটাই সহজ কাজ নয়।
আমার আমি কে ভেঙে দেওয়ার মতো, এতোটাই ঠুনকো, আমি নিজেকে গড়ে তুলিনি…
যে, চাইলেই যে কেউ এসে আমাকে ভুলিয়ে দিতে পারে।
(ছবি:-সংগৃহীত)
আমি স্বার্থপর।
ভীষন রকম স্বার্থপর।
এত সহজে আমি নিজেকে যার-তার হাতে সঁপে দিইনা,
যাতে, যে কেউ এসে আমার অপব্যবহার করতে পারে।
হ্যাঁ, হ্যাঁ আমি স্বার্থপর।
আমাকে এবং আমার মনকে স্বার্থপরের মতো আগলে রাখি আমি,
যেন এই মনটাকে নিয়ে খেলার সাহস কেউ না দেখায়।
যে আমাকে বোঝেনা,
আমার মনকে বোঝেনা,
তাকে আমাকে বুঝতেই হবে এবং মানিয়ে নিয়ে চলতেই হবে,
এমনটা কখনোই হতে পারে না।
(ছবি:-সংগৃহীত)
নিজের কাছে ভীষন দামী আমি।
নিজেকে মানুষ চিনতে শিখিয়েছি।
তাই সহজেই যে কারোর কথায় মন গলেনা আর।
ভীষন রকম স্বার্থপর আমি।
কোনো প্রতারকের জন্য ভালোবাসা জমিয়ে, নিজের প্রতি নিজের ভালোবাসা এবং যত্ন, নষ্ট করিনা আমি।
কোনো আঘাতই যাতে, আমাকে আঘাত করতে না পারে,নিজেকে সেইভাবে গড়ে তুলেছি।
শক্ত করে নিয়ে পথ চলতে শিখিয়েছি নিজেকে, যাতে চলার পথের পাশে, অচেনা কেউ সঙ্গী হতে চাইলে বুঝতে পারি, সে আমার জন্য যোগ্য কিনা!
আমার আমিকে কেউ কখনো দুর্বল করে দিতে পারবেনা…
এই বিশ্বাসটুকুও আমি রাখি।
(ছবি:-সংগৃহীত)
অন্য কাউকে খুব ভালোবেসে, ঠকার চেয়ে, নিজেকে ভালোবাসাটা কি সঠিক নয়!
নিজের জন্য সময় দেওয়া উচিত নয় কি?
আমার আমিটাই কেবল, আমার সাথে সারাজীবন থেকে যাবে, অন্য কেউ নয়।
নিজের জীবনটা কখনো নিজের সাথে প্রতারনা করেনা।
সারাদিনের শেষে ক্লান্তির পর নিজেকে, নিজের যত্ন করা উচিত, কারন সারাদিনে নিজের সমস্ত সার্ভিস, নিজের শরীরটাই দেয়।
অন্য কোন শরীর দেয়না।
তাই, বাগান পরিচর্যার মতো, দিনের শেষে নিজের শরীরটাও একটু পরিচর্যা করা দরকার, পরের দিনের জন্য।
(ছবি:-সংগৃহীত)
আনন্দটা সবাই ভাগ করে নিলেও,
দুঃখটাকে ভাগ কেউ করেনা।
দুঃখের সময় স্বান্তনা দিয়ে সেই, নিজেকেই, নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়।
কষ্ট এবং দুঃখ এগুলো সব সহ্য, নিজের শরীরটাই করে।
ভুল আর ঠিকের তফাতটাও নিজেকেই বুঝতে হয়।
তাহলে, দিনের শেষে, নিজেকেই নিজের আগলে রাখাটা উচিত নয় কি?
নিজের শরীরটা চলে গেলে, এগুলো করার আর, অন্য কেউ থাকবেনা।
এই শরীরটা যতোদিন ঠিক থাকবে, ততোদিনই নিজে ভালো থাকবো।
ঠিক যেমন শরীরে জোর থাকাকালীনই কোনো মানুষকে কাজে রাখা হয় এবং বয়স বাড়লে কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
(ছবি:-সংগৃহীত)
এই সুন্দর জীবনটাই, নিজের সাথে সবসময় থাকবে,
তাই, নিজের সাথে কিছু খারাপ হলে, বা চাইলেও কিছু না পেলে, নিজেকে দোষারোপ করা ঠিক নয়…
বরং নিজেকে স্বান্তনা দিয়ে এবং নিজের জীবনের সাথে মানিয়ে চলা উচিত।
এই জীবনটা যখন আমার নিজের, তখন নিজের জীবন গড়ে তোলার দায়িত্বটাও নিজেরই, নিজের জীবনটাকে পরিবেশের সাথে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব টাও নিজেরই।
একমাত্র নিজের এই জীবনটাই সারাজীবন নিজের সাথে থাকবে,
তাই, ওই জীবনটাকে অবহেলা করে এবং নিজের আত্মসম্মান ত্যাগ করে, অন্যকে ভালোবাসার থেকে, নিজেকেই নিজের ভালোবাসাটা আগে দরকার।
অন্যের মন রাখা অনেক তো হল, একবার নিজেকে ভালোবেসে দেখো, নিজের কাছে নিজে, কখনোই ঠকবেনা।
কখনোই না।