|| রবীন্দ্রজয়ন্তীতে ||
“হঠাৎ দেখা” হয় ঠিকই, তবে হঠাৎ কথা আর হয়না;
কারণ প্রাক্তনও ভুলে যায় অতীতের আয়না।
“শেষের কবিতা” দিয়ে চিঠি লেখার পাতা সব-
হারিয়ে গেছে ঠিকানাহীন দেশে,
ভুলে যাই বারবার, সম্পর্কই যে লুপ্ত নিরুদ্দেশে।
সেও আর চিঠির উত্তর দেয়নি,
সে চিঠি হয়তো “ডাকঘর”-এই ধূলিস্মাৎ হয়;
অমলও চিঠির অপেক্ষা করেছিল,
কোনো প্রেমিকাই অপেক্ষার ঊর্ধ্বে নয়।
কবি দেখিয়েছিলেন প্রেমের “নৌকাডুবি”ও হয় বটে,
তবু সে নৌকাও ডাঙায় উঠে প্রেমকে মিলনান্তক করে;
আমার বেলায় তা হয়নি, হয়তো ভীতটাই ছিল নড়বড়ে।
“বলাই”ও শিমূলবৃক্ষকে ভালবেসেছিল,
আমিও তো তোমাকে;
তবুও সম্পর্ক টেকেনি, অতীত হয়ে ঠেকেছে।
কবি প্রকৃতি ভালবেসে লিখেছেন একশত তিপ্পান্ন “ছিন্ন পত্রাবলী”;
বলো প্রিয়তম কত শত চিঠি লিখলে প্রত্যাবর্তন করবে তুমি?
“অভিসার”-এর মতোই আজি এ রজনীতে সময় কি হতে পারেনা আবার?
…দেখো পুনরায় বিগত নিয়ে ভাবছি;
তোমার আজ অন্য প্রেম তোমার বসন্তে রাঙাচ্ছে।
আমি প্রাক্তন, আমাদের হঠাৎ দেখা হয় ঠিকই-
হঠাৎ কথা আর হয়না…।।